সারা বাংলা জুড়ে সকাল থেকে বিভিন্ন অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে, কোথাও বুথ জ্যাম আবার কোথাও তাজা বোমা উদ্ধার। কোথাও আবার ভোটারকে ভোট দানে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। সকাল থেকে শাসক, বিরোধী দুই শিবিরেই বেশ কিছু কর্মী সমর্থকের মাথা ফেটে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করেছে। বিধায়ক আটকে রেখে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এর মাঝেও সারা বাংলা জুড়ে ভোটদানের হার বেশ নজরকাড়া। জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ৭৯.৩৩ শতাংশ। আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ৭৫.৫৪ শতাংশ আবার কোচবিহারে ভোট পড়েছে ৭৭.৭৩ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যেতেই পারে বাংলা কিন্তু ভোটদানে পিছিয়ে নেই।
গোটা দেশের ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হল শুক্রবার। মোট ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে প্রথম দফায়। ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ চলছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রও। বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের মধ্যে ভোটদানের হারে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ।
প্রসঙ্গত বারবার ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অশান্তির ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই এবার আগেভাগে সতর্ক ছিল প্রশাসন। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পরেও ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। শাসক বিরোধী দুই শিবিরই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছুঁড়ে দিয়েছে। তবুও এত সংখ্যক ভোট দান কিন্তু এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সেই তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিয়েছে।