অভিযুক্ত গুন্ডা জেলবন্দি, তবুও প্রাণনাশের ভয়ে ‘থরহরি কম্প’ তৃণমূল সাংসদের! তটস্থ পুলিশ

বাংলার ক্ষমতায় তৃণমূল। জিরো টলারেন্সের নিদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরও প্রাণনাশের ভয়ে কাঁপছেন শাসক দলেরই বর্ষীয়ান সাংসদ! দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি ঘিরে জোর শোরগোল পড়েছে।…

West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee

বাংলার ক্ষমতায় তৃণমূল। জিরো টলারেন্সের নিদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরও প্রাণনাশের ভয়ে কাঁপছেন শাসক দলেরই বর্ষীয়ান সাংসদ! দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি ঘিরে জোর শোরগোল পড়েছে। প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা, সাদারণ মানুষের সুরক্ষা।

গত সোমবার একটি ভিডিও বাইরাল হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একটি ক্লাবঘরের মধ্যে এক তরুণীর হাত, পা ধরে রেখেছেন কয়েকজন। চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রাখা অবস্থাতেই চলছে লাঠিপেটা। অত্যাচারের এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গেও নাম জড়ায় আড়িয়াদহের তৃণমূল নেতা তথা ‘গুন্ডা’ জয়ন্ত সিংয়ের। বর্তমানে অন্য একটি মারধরের ঘটনায় জেলবন্দি সে। বুধবার বাইরাল ভিডিও-র বীভৎসতা দেখে জয়ন্ত সিংকে ফের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

   

এরপরই মুখ খোলেন দমদমের বর্ষীয়ান চারবারের সাংসদ সৌগত রায়। বলেন, ‘গভীর রাতে একটা অপরিচিত নাম্বর থেকে ফোন আসে। ওপাশ থেকে খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। হিন্দিতে বলে, তুই জয়ন্ত সিংকে না ছাড়ালে আড়িয়াহে গেলেই গুলি করব। হুমকি ফোনটি দু’বার এসেছিল।’

বৃষ্টির জোরালো পূর্বাভাস উত্তরে, দক্ষিণে বর্ষার মারকাটারি ইনিংস কবে থেকে?

গোটাটাই পুলিশকে জানিয়েছেন সৌগতবাবু। কড়া আইন প্রয়োগ করে অভিযুক্তদের ধরার আর্জি জানিয়েছেন শাসক দলের বর্ষীয়ান সাংসদ।

Advertisements

অভইযুক্ত জয়ন্ত সিং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিভিন্ন ভিডিওতে জয়ন্তকে মদন মিত্র, তাঁর পুত্র ও কামারহাটির কাউন্সিলর তথা বিধায়কের পুত্রবধূ মেঘনা মিত্রের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে।

তবে, জয়ন্তর গুণপনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই উল্টো সুর শোনা যায় মদনের মুখে। জয়ন্ত সিং প্রসঙ্গেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং সৌগত রায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। জয়ন্তর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উড়িয়ে মদন মিত্র বলেছিলেন, ‘এরকম গুন্ডামি দেখলে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ বলে সৌগত রায়কে বলুন। ওনাকে (সৌগত রায়) বার বার বলেওছি, উনি বলেছেন দেখছি।’ অর্থাৎ জয়ন্ত সিংদের প্রতাপের নেপথ্যে সৌগত রায়ই রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।