নিট (NEET) প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে অতিরিক্ত হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, নিট-ইউজি ফের নেওয়ার প্রয়োজন নেই। গত শুক্রবার পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’ও স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার বিপক্ষে আদালতে নিজেদের মতামত জানিয়েছিল। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও দাবি করেছিলেন য়ে, প্রশ্ন খুব বেশি ছড়ায়নি।
বুধবার কেন্দ্রের তরফে জমা দেওয়া হলফনামায় বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আশঙ্কার কারণে নিট-ইউজির ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীকে নতুন করে পরীক্ষার চাপে ফেলে দেওয়া ঠিক হবে না। বরং, কোনও অযোগ্য পরীক্ষার্থী যাতে কোনওভাবেই বিশেষ সুবিধা না পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিৎ করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন চালু করেছে বলেও আদালতকে জানানো হয়েছে।
গত সোমবারই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল যে, নিট-ইউজি ফের হবে কিনা সিবিআইয়ের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই সে নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে। আজ, বৃহস্পতিবার, এই মামলায় শুনানি রয়েছে। তার আগে, বুধবার কেন্দ্রর তরফে আদালতে হলফনামা দিয়ে ফের প্রবেশিকা পরীক্ষার বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।
বাংলায় সুষ্ঠু ভোটের দাবি করে বিজেপি, ত্রিপুরায় রাম সরকার আমলে পঞ্চায়েত লুঠ ‘নিশ্চিত’
নিট-এ বেনিয়মের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আলোড়ন পড়েছে। আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী দলগুলো। বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। চাপের মুখে, কেন্দ্রীয় সরকারও একপ্রকার মেনে নিয়েছিল নিয়ম বহির্ভূতভাবে কিছু পড়ুয়াকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। পরে সেটা বাতিলও করা হয়। ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলিং। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারের দাবি ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বড় কোনও গোলমাল হয়নি।
এদিকে নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে বিহার থেকে সিবিআই আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিট পরীক্ষার্থী ছেলে সানি কুমারের জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ করেছিলেন বাবা রঞ্জিত। নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পিতা-পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে চক্রের প্রধান মাথাদের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।