আরজি কাণ্ডে উত্তাল অবস্থা। ন্যায্য বিচারের দাবিতে সরব সকলে। একই দাবিতে দিন কয়েক আগেই শঙ্খ বাজিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যা ভাইরাল হতেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ঋতুকে। এবার নিন্দার ঝড় উঠল তৃণমূলের বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী-বিধায়ক।
ঘটনা কী ঘটেছে?
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে নিজের বিধানসভা এলাকা বরাহনগরে পথ সভার আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রতিবাদ মঞ্চের উপর মহিলাদের দেখা যায়, সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের বিধায়কও। ভাইরাল বিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, মঞ্চে তখন মহিলারা গান ধরেছেন ‘আগুনের পরশমণি’। সেই সময় মঞ্চের সামনের দিকে গিটার হাতে বসে রয়েছেন সায়ন্তিকা। গানের সুরে তালে গিটার বাজাচ্ছেন তিনি।
নিন্দার ঝড়
এই ভিডিও বাইরাল হয়ে পড়তেই বিধায়কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় নেটিজেনরা। ধেয়ে আসা মন্তব্যে দেখা যায় একজন লিখেছেন, ‘লজ্জা ঘৃণা ভয় তিন থাকতে নয়। এরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে।’ আবার কারোর মন্তব্য, ‘এটা অনেকটা ঋতুপর্ণার শঙ্খ বাজানোর মতো।’ অনেকের কটাক্ষ, ‘ঢং, খেলা পেয়েছেন একটা। কোনও লজ্জা নেই আপনাদের। ন্যাকামি চলছে।’
সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজো বোনাস বৃদ্ধির লংজাম্প, বড় ঘোষণা মমতা সরকারের
টলিউডের সমালোচনা
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় পেশাদার অভিনেত্রী। টলিউডের অন্দর থেকেই উড়ে এসেছে সমালোচনা। ‘আগুনের পরশমণি’ গানের সঙ্গে বিদায়কের গিটার বাজানোকে ‘বড্ড দৃষ্টকুটু’ বলে সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন অভিনেতা জীতু কামাল। জীতু লিখেছেন, ‘এক সময় বাংলার রাজনীতির দিকে গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে থাকতো। স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলার রাজনীতির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। আজও ২০২৪-এ বাংলার রাজনীতির ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু এগুলো কী..! পেছনে বসে থাকা মা-বোনেরাও কি মানতে পারছেন? যে বা যাঁরা টিকিট দিলেন, একবারও ভাবলেন না! ওঁর স্বাদ, ওঁর শখ, ওঁর রাজনৈতিক জ্ঞান সম্বন্ধে? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বাংলার রাজনীতিকে! ট্রাজেডি না কমেডি, বিরহ না আনন্দ! অনুভূতিটা বুঝতেই পারছি না!’
সায়ন্তিকার প্রতিক্রিয়া
এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমার এ সবে কিচ্ছু যায় আসে না। অনেক সময় অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। কিন্তু সে সব কথা ধরে বসে থাকলে কিছু হবে না।’