মানিকতলা উপনির্বাচনে আগে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল দাবি করেন, কল্যাণ চৌবে ফোন করে উপনির্বাচনে তাঁকে (Kunal Ghosh) সাহায্য করার কথা বলেছেন। এআইএফএফ-এর সভাপতি পদ ব্যবহার করে আমাকে বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়েছে। কল্যাণকে নির্লজ্জ-বেহায়া বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল।
প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, ৭ জুলাই, রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় আমাকে ফোন করেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। ময়দান সূত্রে ওনার সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল। উনি বুঝতে পেরেছেন ওনার হার আসন্ন। তাই উনি ফোন করে অনুরোধ করেছেন, তাঁকে সাহায্য করার জন্য। ওরা বুঝে গিয়েছে, তৃণমূল এককাট্টা হয়ে লড়ছে। ওদের হার নিশ্চিত।
লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ! ৫ হেভিওয়েট নেতাকে বিরাট শাস্তি দিল তৃণমূল
মানিকতলা উপনির্বাচনে কুণাল ঘোষকে আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণালের কথায়, প্রতিপক্ষের কাছে সাহায্য চাওয়া গণতান্ত্রিক রীতিবীতির সৌজন্য। কিন্তু উনি এআইআইএফ-এর সভাপতি পদের অপব্যবহার করে আমাকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় বা রাজ্যস্তরে Accomodate করার প্রস্তাব দিয়েছেন। পদের অপব্যবহার করছেন উনি।
হাত জোড় করে ভোটপ্রার্থনা! তৃণমূল সাংসদের কথা শুনে অবাক ভোটাররা
কুণালের প্রশ্ন, এটা কী ধরনের রাজনীতি? নির্লজ্জ-বেহায়া কল্যাণ চৌবে ভোটে হারছেন বুঝতে পেরে সংকীর্ণ-নীচ রাজনীতি করছেন। ভোটের দু’দিন আগে গভীর রাতে তৃণমূলের আহ্বায়ককে ফোন করছেন উনি। দলের সঙ্গে বেইমানি করার জন্য বড় পদের লোভ দেখাচ্ছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, উনি সিবিআইকে দিয়ে আমাকে ডাকুন। দেখে নিন, এটা কার গলার স্বর।
সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর কারণে মানিকতলা আসনটি খালি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আদালতে মামলার কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি আদালত উপনির্বাচনে নির্দেশ দিলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। বিজেপি প্রার্থী করেছে কল্যাণ চৌবেকে।
‘অতিরিক্ত ভিড়েই বিপর্যয়’, যোগী সরকারকে রিপোর্ট পেশ পুলিশের
চব্বিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে মানিকতলা বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ৬২৩৮৯। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৬৬৯৬৪ ভোট। আর বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছে ৯৪২১ ভোট। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড মাত্র ৩ হাজার।