শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিতেও ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’! কী বললেন চিরঞ্জিত?

রাজনীতিতে তাঁর পরিচয় তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। আবার তাঁর আলাদা একটি পরিচয় হল তিনি অভিনেতা চিরঞ্জিত৷ ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’ তাঁর সুপারহিট সিনেমা। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক…

রাজনীতিতে তাঁর পরিচয় তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। আবার তাঁর আলাদা একটি পরিচয় হল তিনি অভিনেতা চিরঞ্জিত৷ ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’ তাঁর সুপারহিট সিনেমা। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাঁর দলের বিরুদ্ধে৷ তাঁর এক সময়ের সতীর্থ বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন কারাবাসে। সেই বিষয়েই ফের মন্তব্য এল বিধায়ক চিরঞ্জিতের কাছ থেকে৷

বিরোধীদের যুক্তি হল, একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, এর মধ্যে তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও জড়িত। একে একে সমস্ত নাম বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করছেন তাঁরা৷ পাল্টা চিরঞ্জিতের যুক্তি, এটা আমি বলতে পারব না। এটা যারা বলছে তারাই বলতে পারবে। বিরোধীদের মজা এটাই। আবার কেন্দ্র থেকে যখন চোখ পাকাবে তখন আর কথা বলে না। ঘাড় উঁচু করে তাকিয়ে বসে থাকে।

   

একইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে জুতো ছোঁড়া নিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতার মন্তব্য, এটা একদম উচিৎ না। অত্যন্ত কষ্ট দেয়। হতে পারে না এটা। এখনও কিছু প্রমাণিত হয়নি। আমাকে যদি কালকে কোনও কারণে ধরে নিয়ে যায়, আমি তো জানি আমি কী করেছি না করেছি। ফলে সেক্ষেত্রে এরকম কিছু করাটা অন্যায় হবে৷ আবার একইসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ যেটা পড়ে, ভাবে সেটাই সত্যি। সেই জন্য হয়তো কিছুটা করে। সেটাও একটা ব্যাপার অবশ্যই৷

তাঁর যুক্তি, কেউ একজন খুনি হলে সমস্ত সমাজ খুনি হয়ে যায় না। যা গুজব চারিদিকে চলছে সেই বিষয়ে কান না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়টি বিচারাধীন। রেজাল্ট বেরোলেই সরকার যা করণীয় তা করবে৷

একইসঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের অবস্থা নিয়েও মুখ খুলেছেন অভিনেতা৷ তিনি বলেন, যারা চাকরির জন্য লাগাতার আন্দোলন করে চলেছে সেটা খুবই দুঃখের। কিন্তু তার চেয়েও যেটা বড় দুঃখের এই চাকরি প্রার্থীদের জন্য যারা বিনা পয়সায় মামলা লড়ছেন, কিছু সিপি(আই)এম নেতা, পরে জানতে পেরেছি তাঁরা এদের কাছ থেকে কোটি টাকার উপরে ফিজ নিয়ে নিয়েছেন। এটা ঠিক নয়।