TMC Government : ডিসেম্বরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন হওয়া নিয়ে গুঞ্জন

ডিসেম্বরে কি সরকার পড়ে যাবে? রাজ্যে সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে গুঞ্জন মমতা (Mamata Banerjee) আগেই বলেছেন চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata …

  • ডিসেম্বরে কি সরকার পড়ে যাবে?
  • রাজ্যে সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে গুঞ্জন
  • মমতা (Mamata Banerjee) আগেই বলেছেন চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata  Banerjee) আগেই জানিয়েছেন রাজ্য কোষাগারের হাঁড়ির হাল। কী করে চলবে চিন্তায় রাতে ঘুম হয়না। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতাদের দাবি ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ডিসেম্বর মাসে সতর্ক থাকতে প্রশাসন, মন্ত্রী- বিধায়ক ও দলীয় নেতাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার আশঙ্কার আরও এক দিক স্পষ্ট করলেন মন্ত্রী শোভনদেব তাঁর দাবি, সরকারের জনমুখী কল্যাণকর প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডি এ দিতে দেরি হচ্ছে। এর পরেই সরকারি কর্মী মহলে তীব্র গুঞ্জন,  আদৌ বেতন হবে তো?

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মমতার সরকার। এবার বিধানসভায় বকেয়া ডিএর কারণ ব্যাখা দিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কারণে ডিএ দিতে দেরি হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ যেমন প্রয়োজন তেমনই রাজ্যের গরীব মানুষের কাছে দুবেলা খাবার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের গরিবের সরকার তাই গরিব মানুষের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তাই ডিএ দিতে গিয়ে দেরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা ডিএ পাচ্ছেন না, তাঁরা দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পান। কিন্তু যাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পগুলি করেছেন, তাঁরা প্রতিদিন বাজারে যেতে পারেন না। দু’বেলা হয়তো ঠিক মতো খেতেও পান না। তাই মুখ্যমন্ত্রী সেই সব মানুষের কথাও ভাবছেন। আমাদের রাজ্যে প্রচুর সংখ্যা গরীব মানুষ রয়েছেন। তাই আমাদের ডিএ দিতে দেরি হচ্ছে। ডিএ দেবেন না এই কথা তো মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেননি। ডিএ দেবেন। নিশ্চয়ই দেবেন।

তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মামলা শুরু হয়েছিল স্যাটে। স্যাটের বক্তব্য ছিল, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের আইনত অধিকার । স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় ২০১৮ সালের আগস্টে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায় মানতে চায়নি। হাই কোর্টের সেই রায়ের রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয় রাজ্যের তরফে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার পর সরকারি কর্মচারিদের পক্ষেই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

১২ অগাস্ট ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে, হাইকোর্টে যায় রাজ্য। ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে, রাজ্য সরকার দাবি করে, সরকারি কর্মীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে। পুরনো রায় বহাল রাখে দেয় আদালত। ফলত এখনও অবধি বকেয়া ডিএ থেকে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা।