Weather: রবিবার সাগরে জমাট হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, সোমে ঝড়ের পাকা খবর

Weather: কয়েকদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। সেটি আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ উপকূলে। আর ফের একটি ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা। এই রবিবার সাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত…

Weather: কয়েকদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। সেটি আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ উপকূলে। আর ফের একটি ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা। এই রবিবার সাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত যা ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে যা সোমবার আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওই সম্ভাব্য নিম্নচাপ এরপর গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এই গভীর নিম্নচাপ শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। শেষপর্যন্ত ওই সম্ভাব্য নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে সেটির নাম হবে মিগজাউম।

হাওয়া অফিসের জানিয়েছে, আজ, ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এর প্রভাবে আন্দামান অঞ্চলে ২৭ নভেম্বর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এই সিস্টেমটি ক্রমেই পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। যখন এটি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছবে, তখন শক্তি বাড়িয়ে এই সিস্টেমটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ২৯ নভেম্বর সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।   

এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রবিবার এবং সোমবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী পাঁচদিন পশ্চিমবঙ্গের উপর সেই সম্ভাব্য নিম্নচাপের প্রত্যক্ষ কোনও প্রভাব পড়বে না। 

সোমবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘণ্টায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে। মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরের উপর ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি বেগে পৌঁছে যেতে পারে দমকা হাওয়ার বেগ। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের দক্ষিণ আন্দামান সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করেছে মৌসম ভবন।

এদিকে আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, যতক্ষণ না ঘূর্ণাবর্তটি আন্দামান সাগরে প্রবেশ করছে ততক্ষণ ঝড়ের সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সোমবার জানা যেতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তারিত পূর্বাভাস। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের ওপর। সেই আবহে পশ্চিমবঙ্গের ওপর সেভাবে প্রভাব পড়বে না সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের।