Tet Scam: এই নিষ্ঠুরতা শেষ হওয়া দরকার: পবিত্র সরকার

টেট(TET) পাশ চাকরি প্রার্থীদের ধর্না ভাঙতে পুলিশের জবরদস্তির প্রতিবাদে শনিবার কলকাতায় বিশিষ্টজনদের সমাবেশ থেকে মমতা সরকারের সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠল। সমাবেশ থেকে ভাষাবিদ পবিত্র সরকার…

টেট(TET) পাশ চাকরি প্রার্থীদের ধর্না ভাঙতে পুলিশের জবরদস্তির প্রতিবাদে শনিবার কলকাতায় বিশিষ্টজনদের সমাবেশ থেকে মমতা সরকারের সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠল। সমাবেশ থেকে ভাষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, এই নিষ্ঠুরতা শেষ হওয়া দরকার।

শুক্রবার মাঝরাতে সল্টলেক এপিসি ভবনের সামনে আমরন গণঅনশন ভেঙে দেয় পুলিশ। চাকরি প্রার্থীদের জোর করে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে আয় পুলিশ। 

 ১৪৪ ধারা লাগু করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ পেতেই তৎপর হয় প্রশাসন। সন্ধ্যে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আন্দোলনস্থলে বাড়তে থাকে পুলিশের বহর। এরপর রাত সাড়ে ১২ টা নাগাড় শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বাম ছাত্র যুব নেতৃত্ব। তাদের সঙ্গে পুলিশের খন্ডযুদ্ধ ধরপাকড়ে রাজনৈতিক মহল সরগরম।

টেট চাকরি প্রার্থীদের উপর হামলার বিরুদ্ধে মিছিলে শামিল হন বিশিষ্টজনরা। ছিলেন পবিত্র সরকার, অনীক দত্ত, রাহুল সরকার, বদশা মৈত্র, শ্রীলেখা মিত্র মন্দাক্রান্তা সেন সহ অন্যান্যরা। 

পবিত্র সরকার বলেন, অন্যায় করে চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। সারা দেশ সেটা দেখেছে। চাকরি প্রার্থীরা শান্তিভঙ্গ করেনি। তার মধ্যে অন্ধকারে পুলিশ কাপুরুষের মতো তুলে নিয়ে গেছে। এই নিষ্ঠুরতা শেষ হওয়া দরকার।

অভিনেত্রী শ্রীলেখা বলেন, প্রশাসন যদি না কথা শোনে, পুলিশ যদি না কথা শোনে তাহলে চাকরি চলে যাবে। আগামী দিনে যাতে এই মন্ত্রিসভা যাতে না থাকে সেটাই আমরা চাইব। আগামী দিনে যাতে হকের লড়াই না করতে হয়, সেকারণেই আজ সরব হয়েছিল আমরা। 

মিছিলে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। কংগ্রেস নেতা মান্নান বলেন প্রশাসন যদি পাগল হয়, মানসিক ভারসাম্যহীন হয়, সেখানে আমরা কী আন্দোলন করব? এখন প্রশাসনকে যতদিন না তাড়ানো যায়, যতদিন না মানুষকে বাঁচানো যায়, ততদিন আন্দোলন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিভিন্ন সময় যেভাবে বিভিন্ন কথা বলেন, তা মানসিক ভারসাম্যহীন ছাড়া হয় না।