হাতির আস্তানার নিচে আগ্নেয়াস্ত্র! পুলিশ চমকে গেল

এভাবে সবকিছু লুকিয়ে রাখবে তার আন্দাজ ছিলনা। একেবারে হাতির আস্তানার নিচে অস্ত্রভাণ্ডার দেখে চমক। শুরু হলো অস্ত্র উদ্ধারের (Arms recover) পর্ব। সেখান থেকে মিলেছে গ্রেনেড,…

এভাবে সবকিছু লুকিয়ে রাখবে তার আন্দাজ ছিলনা। একেবারে হাতির আস্তানার নিচে অস্ত্রভাণ্ডার দেখে চমক। শুরু হলো অস্ত্র উদ্ধারের (Arms recover) পর্ব। সেখান থেকে মিলেছে গ্রেনেড, এ কে ৪৭ সহ আরও কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। অসম পুলিশের (Assam Police) দাবি জঙ্গিরা নিরাপদ স্থান হিসেবে হাতির আস্তানাকে বেছে নিয়েছিল।

ঘটনাস্থল অসমের কার্বি আংলং জেলা। পিটিআই জানাচ্ছে, ডিফু-ধানসিড়ি সড়কের উপর জঙ্গি হামলার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান করে অসম পুলিশ। সেই অভিযানে এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের নিচে পুঁতে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

কার্বি আংলং জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জীব সইকিয়া জানান, ডিফু-ধানসিড়ি সড়কের ধারে জঙ্গলে একটি হাতির আস্তানার আশেপাশে তল্লাশি চলছিল। সেখানেই দেখা যায় মাটি খুঁড়ে কিছু চাপা দেওয়া আছে। জায়গাটি ফের খুঁড়তেই মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র।

তিনি বলেন, একটি এ কে ৪৭, ৬৯টি কার্তুজ, ১২টি এসএলআর, বেশ কিছু গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ডিমাসা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বলেই মনে করছে পুলিশ।

অসমের ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং জেলা সহ কিছু অংশে পৃথক স্বশাসিত ডিমাসাল্যান্ডের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন করে ডিমাসা জাতির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। বাজেয়াপ্ত করা আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ডিএনএলটি সংগঠনের বলে মনে করছে পুলিশ।

অসমে সম্প্রতি বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন রাজ্য সরকারের শান্তি চুক্তিতে সাড়া দিয়ে অস্ত্র জমা করে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গোয়েন্দা বিভাগের ধারণা, যতক্ষন না আলফা পরেশ বড়ুয়া গোষ্ঠি ও এনডিএফবি সংবিজিত গোষ্টি শান্তি বৈঠকে না আসছে ততক্ষণ উদ্যোগ সফল হবেনা।