দুর্গাপুজোর বিপুল খরচের জৌলুস মিছিল মমতার, চাকরি প্রার্থীদের কথা শুনবেন মুখ্যমন্ত্রী?

একমাস আগেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু বুধবার থেকে। বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো (UNSCO)। তাদের এই পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে জৌলুস…

একমাস আগেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু বুধবার থেকে। বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো (UNSCO)। তাদের এই পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে জৌলুস মিছিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোড জুড়ে হবে মিছিল। অথচ রেড রোড থেকে অনতিদূরে চাকরি প্রার্থীদের ধর্নামঞ্চ বৃহস্পতিবার ৫৩৫ দিন পার করল৷

তিন দফায় হবু শিক্ষকদের ধর্নায় একটাই দাবি, অবিলম্বে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ করুক রাজ্য সরকার৷ কিন্তু বারবার ধর্নার মাধ্যমে সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস করলেও চাকরি প্রার্থীদের কথায় কর্ণপাত সরকার করেনি৷ বরং কেউ মারন রোগ সঙ্গে নিয়ে, কেউ কোলের বাচ্ছাকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

কিছুদিন আগে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সেরেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এরপর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের কোনও সুরাহা হয়নি৷ বরং মুখ্যমন্ত্রী একসময় যাকে সঙ্গে নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেল হেফাজতে৷ তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। নিয়োগ নিয়ে সরকারের অনীহার কারণে আজ কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীদের ভবিষ্যত অন্ধকারে।

কলকাতার একাধিক প্রান্ত দিয়ে যাবে দূর্গাপুজোর মিছিল। তখনই কী মুখ্যমন্ত্রী একবার দেখা করবেন? অপেক্ষায় চাকরি প্রার্থীরা৷ কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বারবার আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে নিয়োগের বিষয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন৷

অন্যদিকে, একই প্রশ্ন উঠেছে সরকারি কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও। অবিলম্বে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছে সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলি। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন বঞ্চিত রাখা হচ্ছে? প্রশ্ন সরকারি সংগঠনগুলির৷ অথচ এক মাস ধরে পুজোর উদযাপন এবং ক্লাবগুলিকে বিপুল অঙ্কের টাকা দেওয়া এটাকে যুক্তিযুক্ত নয় বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এটা না করে সরকার নিয়োগের বিষয়ে জোর দিলে পুজোর মরশুমে চাকরি প্রার্থীদের জন্য এর থেকে বড় সুখবর আর কিছু হত না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।