Tet Scam: যোগ্যতার চাকরি চেয়ে রাজপথে আমরণ অনশনের নতুন সকাল

অনশনে (Hunger Strike) চাকরি প্রার্থীরা। যোগ্যতার ভিত্তিতে পাশ করেও নিয়োগ না পাওয়ায় চলছে আমরণ অনশন। সল্টলেক করুণাময়ী মোড়ে চলছে গণ অবস্থান। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে…

TET Protest

অনশনে (Hunger Strike) চাকরি প্রার্থীরা। যোগ্যতার ভিত্তিতে পাশ করেও নিয়োগ না পাওয়ায় চলছে আমরণ অনশন। সল্টলেক করুণাময়ী মোড়ে চলছে গণ অবস্থান। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝে এই গণঅনশনে রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত। চাকরি প্রার্থীদের স্পষ্ট দাবি, গত বামফ্রন্ট আমলে এমন পরিস্থিতি (Tet Scam) একদিনের জন্যও হয়নি।

ভোর হতেই শুরু হয়েছে স্লোগান৷ নতুন করে লড়াই শুরু হচ্ছে আজ। আবার নতুন চ্যালেঞ্জ৷ তবুও আমরণ অনশন চালিয়ে যেতে চায় হবু শিক্ষকদের একতা মঞ্চ।

২০১৪ সালে টেট পাশের পর কেটে গেছে ৮ বছর৷ তার মধ্যে দুবার ইন্টারভিউ ও পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেছে তারা। কিন্তু নিয়োগ থেকে বারবার বঞ্চিত হতে হয়েছে তাদেরকে৷ এখন আবার বয়সের কারণে নতুন করে দেখা দিয়েছে। কোনওভাবেই পর্ষদের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ পদ্ধতিতে বসতে নারাজ তারা৷ আদালতে যাওয়ার আগে নিয়োগের দাবিতে গত দুই ধরে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল এই চাকরি প্রার্থীরা। 

চাকরি প্রার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের মাঝে অনমনীয় পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, আজকে যারা নট ইনক্লুডেড, তাঁর কিন্তু পর পর দুইবার ইন্টারভিউ দেওয়ার অর্থাৎ রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার পরেও তাঁরা এম প্যানেল হননি। তাঁরা আন্দোলন করছেন। আমরা কখনই বলতে পারি না তারাই শুধুমাত্র আবেদন করবেন। তাঁরা চাইছেন, তাঁরা কোনও ইন্টারভিউ দেবেন না আর। তাঁদেরকে নিয়োগ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মনে করে তাঁদের দাবি অন্যায্য।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি এই ধরনের আন্দোলনকে ইন্ধন জোগাচ্ছেন বলেও দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। আন্দোলনকে সমর্থনকে বোর্ডের তরফে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বয়স অনেকের পেরিয়ে গেলেও সেখানে বোর্ডের তরফে নিয়মভঙ্গ করার সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। যদিও চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, তাদের ধর্নামঞ্চে রাজনৈতিক কোনও রঙ নেই। 

মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয় ২০১৪ সালে টেট পাশ চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সব নিয়ে আমি এখন আলোচনা করছি না। এটা এখন বিচারাধীন বিষয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তোমরা আদালতকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো।