Tet Scam: পর্ষদ সভাপতি বললেন চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন অন্যায্য

সোমবার থেকে  করুণাময়ীতে বিক্ষোভ অবস্থান জারি রেখেছেন ২০১৪ সালের টেট(tet scam) উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। খাবার ও জল ফেলে আমরণ অনশনের দাবি আন্দোলনকারীদের। এরপরেও বঞ্চনার অভিযোগে…

সোমবার থেকে  করুণাময়ীতে বিক্ষোভ অবস্থান জারি রেখেছেন ২০১৪ সালের টেট(tet scam) উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। খাবার ও জল ফেলে আমরণ অনশনের দাবি আন্দোলনকারীদের। এরপরেও বঞ্চনার অভিযোগে সাড়া দিল না পর্ষদ। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, “২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালেও ইন্টারভিউতে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি হবু শিক্ষকরা।” আন্দোলনকারীরা “অন্যায্য দাবি” জানাচ্ছেন, বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।

আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, নট ইনক্লুডেডদের যদি নিয়োগ দিতে হয়, তাহলে কি সেটা আইনানুগভাবে সঙ্গতিপূর্ণ? ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যারা টেট পাশ করেছেন, যাঁদের ট্রেনিং ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও কিন্তু দাবিদার। আমি বিজ্ঞাপন করেছি ২০২২ সালে। তাহলে আমাকে ২০১৬ সালের যে রিক্রুটমেন্ট অ্যাক্ট সেই বিধি ও আইন মেনে নিয়োগ করতে হবে।”

পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী,” ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী যে ১৬ হাজার ৫০০ পদ তৈরি করেছিলেন, সেখানে ২০১৭ সালের টেট পাশের ক্যান্ডিডেট ছিল না। সেখানে ছিল ২০১৪ সালের টেট পাশ ক্যান্ডিডেট। তার আগে কিন্তু ৪২ হাজার ৬২৭ জনকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল।”

সভাপতির দাবি, দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার অর্থাৎ রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন ২০১৪ সালের টেট পাশ প্রার্থীরা। তা সত্ত্বেও তাঁরা নথিভুক্ত হননি। আজকে তারা নট ইনক্লুডেড। সভাপতি মতে,আবেগের বশবর্তী হয়ে তারা আন্দোলন করছে।

সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের টেট পাশরা আজ আন্দোলন করছেন। আমরা কখনই বলতে পারি না তারাই শুধুমাত্র আবেদন করবেন। ২০১৪ সালের টেট পাশরা কোনও ইন্টারভিউ দেবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। কোন ইন্টারভিউ ছাড়াই নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। 

প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি এই ধরনের আন্দোলনকে ইন্ধন জোগাচ্ছেন বলেও দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। আন্দোলনকে সমর্থনকে বোর্ডের তরফে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বয়স অনেকের পেরিয়ে গেলেও সেখানে বোর্ডের তরফে নিয়মভঙ্গ করার সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।