TET SCAM: দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছাতে কর্মরত শিক্ষকদের নিয়োগপত্রের খোঁজ সিবিআইয়ের

রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির খোঁজ করতে তৎপর হয়েছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতির(TET SCAM) তদন্তে নেমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক…

CBI

রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির খোঁজ করতে তৎপর হয়েছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতির(TET SCAM) তদন্তে নেমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির খোঁজ পেতেই এবার কর্মরত শিক্ষকদের ওপর নজর সিবিআইয়ের। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়া দুই কর্মরত শিক্ষকদের নিয়োগপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই।  

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে দুই শিক্ষকের নিয়োগপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এরপরেই সিবিআইয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে,আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের তদন্ত করছে সিবিআই। সেখানেই দুই জনের নিয়োগপত্রের আসল কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দুই জনকে অবিলম্বে তাদের নিয়োগপত্রের আসল কপি পর্ষদের দফতরে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে”।

 দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করেছেন পর্ষদের সেক্রেটারি আরসি বাগচী। দুই জনের নিয়োগপত্র পর্ষদের কাছে জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা চেয়ারম্যানের ওপরেই। দুই জন চাকরি প্রাপকদের নাম ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই নিয়োগপত্র পাঠানো হবে সিবিআই দফতরে। 

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করতে নেমে ফের আজ মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে তলব করেছে ইডি। এর আগে ইডি দফতরে প্রবেশের সময় তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন,অফলাইনে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা করে নিতে মানিক। তার জন্য তাপসের মহিষবাথানের অফিসে লোক পাঠাতেন মানিক”।

যদিও এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে কখনও সাদা খাতা জমা দিয়ে, আবার কখনও কম নম্বর থেকে বাড়িয়ে নিয়োগ করেছে পর্ষদ। টাকার বিনিময়ে কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এখন দুই কর্মরত শিক্ষকদের নথি সিবিআই চেয়ে পাঠাতেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।