২০১৭ সালের চাকরি প্রার্থীদের (TET) সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে নারাজ ২০১৪ এর প্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই দুই বার ইন্টারভিউ দিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। একসঙ্গে ইন্টারভিউ হলে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা তাঁদের। কারণ, ২০১৭ সালে সকলেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কিন্তু ২০১৪ সালের সকলেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। তাই গতকাল থেকেই করুণাময়ীতে বিক্ষোভ ধর্না দেখাচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল বেলাতেই এপিসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল টেট পাস নট ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশের তরফে বাধা পাওয়ার পর করুণাময়ীতেই ধর্নায় বসেন চাকরি প্রার্থীরা৷ পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রতিনিধি দল দেখা করার পরেও জট কাটেনি৷ তাই রাতভর চলল ধর্না।
তাদের বক্তব্য, সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ২০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী এখনও শূন্যপদ থাকার পরেও কেন নিয়োগ হচ্ছে না? একইসঙ্গে তাদের প্রশ্ন, এই মুহুর্তে ইন্টারভিউ দেওয়ার বয়স নেই৷ তাহলে কেন ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তাঁরা? দুর্নীতির কারণে অনেকের বয়স চলে গেছে৷ তারা কোথায় যাবেন?
এমনিতেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি যে পাহাড় গড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন। দুর্নীতির কারণে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি এখন জেলবন্দি৷ টাকার বিনিময়ে যথেচ্ছেভাবে নিয়োগ হয়েছে, তা দাবি করছে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের পাশাপাশি দ্রুত নিয়োগ নিয়েও সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ তাই গতকাল থেকেই সল্টলেকে ধর্নায় শামিল হয়েছে তারা।