Teachers Protest: যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি চাই, ‘অশনি’ আশঙ্কা উড়িয়ে হবু শিক্ষকদের আন্দোলন

ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ‘অশনি’। বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসছে। পরপর দু দিন ভারি বৃষ্টির মধ্যে আন্দোলনে (Teachers Protest) অনড় হবু শিক্ষকরা। চাকরির দাবিতে…

ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ‘অশনি’। বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসছে। পরপর দু দিন ভারি বৃষ্টির মধ্যে আন্দোলনে (Teachers Protest) অনড় হবু শিক্ষকরা। চাকরির দাবিতে তাঁদের আন্দোলন ৪০০ দিন পার করেছে।

ঈদের দিনে সকালেই ডিসি সাউথ আকাশ বাগারিয়ার ফোন মারফত হবু শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, যারা প্যানেলে রয়েছে তাঁদের প্রতি মানবিক হয়ে দ্রুত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী হবু শিক্ষকদের প্রতি আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, তোমাদের বিষয়টা আমি নিজেই দেখছি। নিয়োগের ব্যবস্থা করছি। এবিষয়ে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এত সহজে আন্দোলনস্থল ছেড়ে যেতে নারাজ আন্দোলনকারী হবু শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আশার আলো দেখছেন। তবে নোটিশ না পাওয়া অবধি আতঙ্কে থাকব। ধর্নামঞ্চ থেকেই নিয়োগের নোটিশ নিয়ে যেতে চান তাঁরা। তারপর থেকে একটানা চলছে আন্দোলন কর্মসূচি।

হবু শিক্ষকদের বক্তব্য,প্রথম দফায় ডাক পেলেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নম্বর ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেনি৷ ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। মেধাতালিকায় সামনের দিকে নাম থাকলেও নিয়োগ পাননি বহু প্রার্থী। বরং তালিকায় নাম জুড়েছে মেধা তালিকায় পিছনে থাকা প্রার্থীদের৷ অভিযোগ, অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

এই অভিযোগে২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রেস ক্লাবের সামনে ২৯ দিন ধরে অনশন কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন হবু শিক্ষকরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ এর নির্বাচনের পরেই নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

সেই অভিযোগ তুলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করতে হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন, ২০২১সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন। এরপর গত বছরের ৮ ই অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্ণা। মোট ৩ দফায়  ৪২১ দিনে পড়ল হবু শিক্ষকদের আন্দোলন। 

মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থী এম ডি রাকিব হোসেন, ইকবাল হাসান, লুবানা পারভিন, পলাশ মন্ডল, আবু নাসের, আবদূর রহমান, মাসুদ আলম জানিয়েছেন, সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে তাদের এই আন্দোলন ছিল ন্যায্য চাকরির দাবিতে। তাঁরা আশা রাখেন শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে নবম-দ্বাদশ স্তরে ৫২৬১ পদে যে নিয়োগের ঘোষণা করেছেন। তাঁদের বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথা দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। একইসঙ্গে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ২০১৯ সালে বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্তদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বাস্তবায়ণ করে দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্তদের প্রতি সুবিচার করবেন।