কমিশনে প্রতীকী তালা শুভেন্দুর, নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আদালতে যাবেন

শনিবার সকাল থেকে রাজ্যে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের শুরু হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় মৃত্যু মিছিল। এখনও পর্যন্ত ভোট সন্ত্রাসের বলি ১৪। এবার এই পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

suvendu_Election

শনিবার সকাল থেকে রাজ্যে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের শুরু হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় মৃত্যু মিছিল। এখনও পর্যন্ত ভোট সন্ত্রাসের বলি ১৪। এবার এই পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সকালে শুভেন্দু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি ওঁকে (রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা) ফেসটাইমে ফোন করেছিলাম। প্রথমে বলেছি, আর কত রক্ত চাই আপনার? তারপর বলেছি, সন্ধ্যা ৬টার পর আমি যাচ্ছি আপনার কার্যালয়ে তালা ঝোলাতে। পুলিশকে বলে রাখবেন।”

   

ভোট শেষ হতেই নিজের নির্বাচনী এলাকা নন্দীগ্রাম থেকে বেরিয়ে কলকাতা পৌঁছান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান শুভেন্দু অধিকারী। দফতরের গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে প্রতীকী তালা লাগিয়ে দেন শুভেন্দু। 

রাজ্য নির্বাচন দফতরে প্রতীকী তালা লাগানোর পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পঞ্চায়েতে ভোট সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। এরপরই জানান শনিবারের নির্বাচন বাতিলের আবেদন নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তিনি। পুরো নির্বাচন বাতিলের আর্জি করবেন তিনি, এমনটাই জানান শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মঙ্গলবার আদালতে আমারা অভিযোগ জানাব। প্রধান বিচারপতি যাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিল সেই নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার তারা আস্থা ভেঙেছে।’

এছাড়া তিনি একগুচ্ছ দাবির কথা বলেন। শুভেন্দু বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ ছিল, সিসিটিভি লাগিয়ে গোটা নির্বাচন হবে। কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য ৯৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভভি লাগিয়েছি বলে হলফনামা দিয়েছিলেন। বাকি ৫ শতাংশ বুথে ভিডিয়োগ্রাফি হবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই সব ফুটেজ খতিয়ে দেখে যেখানে যেখানে ছাপ্পা হয়েছে, সেখানে ভোট বাতিল করে সোম বা মঙ্গলবার ফের ভোটগ্রহণ করতে হবে। সেই সব বুথে ১ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। দরকারে ভোটগণনা পিছিয়ে দিক কমিশন।’

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘যে সব বুথে ভোট শুরুর আগে ব্যালটবাক্স সিল করার সময় বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টরা ছিলেন, কিন্তু ভোট শেষের পর ব্যালট বাক্স সিল করার সময় তাদের দেখা যায়নি সেখানে ফের ভোটগ্রহণ করতে হবে। ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সেখানে বিজেপি কর্মীদের মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে সমস্ত ভোটকর্মীদের সিসিটিভি ফুটেজে ছাপ্পায় যুক্ত থাকতে দেখা গিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে FIR করতে হবে।’

এইদিন সকালে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী কালীঘাট অভিযানের ডাক দেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘মানুষের কাছে দু’টো রাস্তা আছে, জনগনের অভ্যুত্থান, চলো কালীঘাট, গুলি করুক, প্রথম ১০-২০ জন মরবে, কিন্তু বাংলা বেঁচে যাবে৷ আমি সেই তালিকায় থাকতে রাজি আছি৷’

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘চলো কালীঘাটের ইটগুলো খুলেনি৷ এ ছাড়া ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ করে নিতে হবে৷ এর কোনও বিকল্প নেই৷ দিল্লির কে কী ভাববে, অন্য কে কী বলবে জানার দরকার নেই৷’