আরজি কর হাসপাতালের সুরক্ষা নিয়ে বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিআইএসএফ-কে এই হাসপাতালের সুরক্ষার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার আবেদনের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম’ নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছেছে সিআইএসএফ।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময়ে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ৭০০ রেসিডেন্ট ডাক্তারের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় চলে গিয়েছেন। ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলা, ৬০ থেকে ৭০ জন পুরুষ ডাক্তার রয়েছেন। শুধু নিজেদের পড়াশোনা নয়, পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে সব চিকিৎসকের হাসপাতালে ফিরে আসা উচিত। তাই CISF, CRPF পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন করতে হবে আর জি কর হাসপাতালে।
আরজি কর মামলায় জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এ দিন বলেছেন, ‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’ চিকিৎসকরা যাতে ফের কাজে ফিরতে পারেন, তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে নির্দেশে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
‘আর একটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে পারব না’, সরকারকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের
আরজি কর হাসপাতালের কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়েছে গোটা দেশে। প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ১৪ অগস্ট রাতে রাজ্যজুড়ে চলেছে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি। তারই মাঝেই আরজি করা হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। চলে ভাঙচুর, মারধর, চিকিৎসা সরঞ্জাব ভাঙার কাজ। সেই সময় পুলিশ কিছুই করেনি বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভয়াবহতায় উদ্বিগ্ন দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওযাই চন্দ্রচূড় এ দিন বলেছেন, ‘আমরা খুবই চিন্তিত। প্রতিবাদকারীদের বাধা দিতে বল প্রয়োগ করে রাজ্য। আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্য কী ভাবে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে দিল? পুলিশ নিরাপত্তা দিতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিল।’
এরপরই শীর্ষ আদালতের তরফে সিআইএফএফ-কে আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিলম্বিত বোধদয়? আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের গর্জন সৌরভের