Republic Day: রেড রোড অনুষ্ঠানে মমতা-রাজ্যপাল গরম হাওয়া বইল

আবারও প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এবার কিনা রেড রোডে অবধি এই সংঘাতের রেশ গড়াল। সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day) বুধবার সৌজন্য দেখালেও আগাগোড়াই নিজের কাঠিন্য বজায় রাখলেন…

আবারও প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এবার কিনা রেড রোডে অবধি এই সংঘাতের রেশ গড়াল। সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day) বুধবার সৌজন্য দেখালেও আগাগোড়াই নিজের কাঠিন্য বজায় রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপালের প্রতি আচরণে কোনও আন্তরিকতা ধরা পড়েনি। এমনকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankar) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আসা পর্যন্ত চেয়ার ছেড়ে ওঠেননি মমতা।

এদিকে রেড রোডের কুচকাওয়াচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। আমন্ত্রিতদের মধ্যে নাম নেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকার যে আমন্ত্রিতদের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে এই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীর নাম বাদ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারেননি মমতা, তাই ডাকেননি।আর এই প্রথম রাজ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

শুধু শুভেন্দুই নয়, রাজ্য সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। আর একে ঘিরে আবারও নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, বিধানসভার স্পিকার, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি এবং আইজিপি, সিপি, কলকাতার সিপি, প্রায় ১৫ জন বিদেশী প্রতিনিধি, সেনা কর্মকর্তা ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তা সহ সর্বাধিক ৬০ জন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।