SSC SCAM: চাকরিপ্রার্থীদের মামলা চালিয়ে যাওয়ার নিদান ‘ মাসিহা’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে একাধিকবার সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি…

রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে একাধিকবার সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির(SSC SCAM) ক্ষেত্রে যেভাবে বিচারপতি চাকরিপ্রার্থীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে চাকরি প্রার্থীদের কাছে তিনি এখন মাসিহা। সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন মন্তব্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে ভোকাল টনিকের কাজ করল। ‘মামলা চালিয়ে যাও, হাল ছেড়ো না’, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ঠিক এই বার্তাই‌ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

শনিবার শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। চাকরি প্রার্থীর বক্তব্য, ২০১২ এর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় হিন্দি ভাষায় পাশ করেন তিনি। প্যানেলে তাঁর এক নম্বর ছিল। কিন্তু তাঁকে বঞ্চিত করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। শনিবার সুবিচারের আশায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। 

সুবিচারের আশায় বিচারপতির কাছে সাহায্য চাওয়া চাকরি প্রার্থীর কথা শোনেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ওই চাকরি প্রার্থীকে জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস সংক্রান্ত মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। ওই চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার সময়ই চাকরি প্রার্থীর উদ্দেশ্যে বিচারপতির পরামর্শ,’ মামলা চালিয়ে যাও, হাল ছেড়ো না’। 

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। একাধিক মামলার শুনানি চলছে তাঁর এজলাসে। এরই মধ্যে রবিবার টেট পরীক্ষা হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এর আগে বিচারপতির এরূপ মন্তব্য ফের একবার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।