Bollywood: পকেটে ছিল না কানাকড়ি! বাড়ি থেকে পালিয়েই কোটিপতি এই তারকারা

রুপোলি পর্দায় নায়ক নায়িকাদের দেখে তাঁদের মতো হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু একসময় এই তারকাদের ও স্বপ্ন ছিল অভিনয় জগতে আসা। কোনো না কোনো কারণে…

রুপোলি পর্দায় নায়ক নায়িকাদের দেখে তাঁদের মতো হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু একসময় এই তারকাদের ও স্বপ্ন ছিল অভিনয় জগতে আসা। কোনো না কোনো কারণে সেই স্বপ্নে পড়ছিল হাজারো বাধা। কিন্তু স্বপ্ন তো আর থেমে থাকে না। তাই তারকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ বলিউডের(Bollywood) প্রথম সারির তারকা। নামগুলি শুনলে অবাক হয়ে যেতে পারেন আপনিও। 

  • কঙ্গনা রানাওয়াত: 

ছোটো থেকেই সিনেমার ভক্ত ছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু পরিবার কখনও মেনে নেননি তার ইচ্ছাকে। তাই পরিবারের অমতেই সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে মুম্বই পালিয়ে এসেছিলেন কঙ্গনা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫। প্রথম ছবি অনুরাগ বসুর গ্যাংস্টার। একই সঙ্গে কাজ করছিলেন মহেশ ভাটের ছবি Woh Lamhe-তেও। দুটি ছবিই সুপারহিট। কঙ্গনার অভিনয়ের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। নারীকেন্দ্রিক ছবি মানেই কঙ্গনা রানাওয়াত। ইতিমধ্যে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্খার। সম্মানিত হযেছেন পদ্মশ্রী সম্মানে। বর্তমানে তিনি বলিউডে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নায়িকাদের মধ্যে একজন। 

সনু সুদ: 

করোনা মহামারি চলাকালীন দেশবাসীর কাছে নায়কে পরিণত হয়ে উঠেছেন অভিনেতা সনু সুদ। নিজের খরচে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুঃস্থ মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা, হাসপাতালে করোনা প্রতিরোধকারী সরঞ্জাম সরবরাহ ইত্যাদি নানা খাতে সাহায্য করেছেন তিনি। পর্দায় প্রধানত খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে তিনিই এখন নায়ক। সেই সনু সুদও অভিনেতা হওয়ার আশায় প্রায় ২০ বছরে আগে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। লুধিয়ানার বাড়ি থেকে ব্না রিজার্ভেশনে ট্রেনে চেপে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। বলিউড তো বটেই দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও সনু সুদ বেশ পরিচিত। 

  • কার্তিক আরিয়ান: 

একের পর এক ব্লকবাস্টার দর্শকদের উপহার দিয়ে কার্তিক আরিয়ান এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর জনপ্রিয়তার একদম কমতি নেই। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বই এসেছিলেন কার্তিকও। স্ট্রাগলের দিনগুলিতে ১২ জন রুমেটের সঙ্গে ঘর শেয়ার করতে হল। অডিশন দিয়ে বাতিল হতে হতে ক্লান্ত হযে পড়েছিলেন তিনি। বাড়িতে কিছুই জানাতেন না। বহুবার বাতিল হওয়ার পর হঠাৎ সুযোগ আসে ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা ছবিতে’। কম বাজেটের ছবি হলেও সেটি ছিল সুপারহিট। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। 

  • নাসিরউদ্দিন শাহ:

একসময় অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ-ও। তার বাবা ছিলেন খুব কড়া ধাতের মানুষ,তাই তিনি ছেলের এই স্বপ্নকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেননি। অগত্যা বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন নাসির। বলিউড তো বটেই হলিউড ছবিতেও নাসিরের অবদান প্রশংসনীয়। তাঁর অভিনয় প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা হয়তো কারও নেই। বাড়ি থেকে পালানোর কথা তিনি নিজের আত্মজীবনী ‘দেন ওয়ান ডে’-তেই প্রকাশ করেছেন। নিজের ছেলেদের অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসায় তাই সর্বদা উৎসাহ দেন এই প্রবীণ অভিনেতা। 

  • যশ: 

KGF-এর নায়ক তিনি। এখন এক ডাকে সবাই চেনে তাকে। তবে তার প্রথম ছবিই ছিল সুপার ডুপার হিট। বলিউড এবং দক্ষিণ উভয় ইন্ডাস্ট্রিতেই দারুণ খ্যাতি তার। অথচ অভিনয়ের ব্যাপারে মধ্যবিত্ত পরিবারের সমর্থন তিনি পাননি। বাবা চেয়েছিলেন তিনি সরকারি অফিসে কাজ করুন। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও পরিবারের আপত্তিতে বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন যশ। পকেটে ৩০০ টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই বাড়ি পালিয়েছিলেন তিনি।