Tollywood: টলিউডের সুপার ফ্লপ নায়ক কারা? দেখুন তো চিনতে পারেন কি না

টলিউডের(Tollywood) নায়কদের নিয়ে গুঞ্জন চলতেই থাকে ইন্ড্রাস্ট্রিতে। বাংলার নায়কদের বেক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তাদের ক্যারিয়ারের সফলতা, সবকিছুই চর্চার শিখরে থাকে। তবে সব অভিনেতাই যে…

টলিউডের(Tollywood) নায়কদের নিয়ে গুঞ্জন চলতেই থাকে ইন্ড্রাস্ট্রিতে। বাংলার নায়কদের বেক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তাদের ক্যারিয়ারের সফলতা, সবকিছুই চর্চার শিখরে থাকে। তবে সব অভিনেতাই যে সফলতা পান তা কিন্তু নয়, এমন অনেক অভিনেতা আছেন যারা সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। প্রায় বেশিরভাগ সিনেমাই ফ্লপ এই অভিনেতাদের। কিন্তু তাও তারা লাইম লাইটে থাকেন। আসুন চিনে নেওয়া যাক, তারা কারা। 

  • জয় ব্যানার্জি:

এনার নাম তো টলিউড থেকে প্রায় উঠে গিয়েছে।তবে তাঁর সব সিনেমা যে ফ্লপ তা নয়। বরং তাঁর হীরক জয়ন্তী সিনেমাটা মফস্বলের হলে বেশ চলেছিল। কিন্তু বাংলা সিনেমায় জয় ব্যানার্জি-এমন একটা নাম, তিনি এ যুগে এলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়ে থাকে। একেবারেই অভিনয় পারতেন না। একেবারেই নায়কসুলভ ব্যাপারস্যাপার ছিল না। তবু নয় নয় করে বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সবগুলোই অঞ্জন চৌধুরীর দুরন্ত চিত্রনাট্য আর পরিচালনার জন্য। 

  • লোকেশ ঘোষ:

লোকেশ কিন্তু নয় নয় করে গোটা তিরিশের বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে বেশিরভাগই ফ্লপ। তার সম্বন্ধে সমালোচকরা বলেন, লোকেশ যাত্রা আর সিনেমাটা গুলিয়ে ফেলে বলেই যত সমস্যা হয়। ২০১০ সালে ‘বেজন্মা’ নামের এক সিনেমার মাধ্যমে কামব্যাক করেছিলেন। সেই সিনেমাটা ভীষণ রকম ফ্লপ হয়। 

  • অভিষেক চ্যাটার্জি:

সুন্দর বাঙালী ছেলে বলতে যা বোঝায় অভিষেক চ্যাটার্জি ছিলেন সেরকম। সুন্দর মুখ, ভাল চেহারা, মেয়েদের নজর কারবেই। পথভোলা থেকে সংঘর্ষ, তুফান। অভিষেক অনেক হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু সেসবগুলোই হয় তাপস পাল বা প্রসেনজিত-এর সঙ্গে। নিজে যতগুলোতে হিরোর অভিনয়ে ছিলেন, সেগুলোর বেশিরভাগই ফ্লপ করে। 

  • যশ দাশগুপ্ত:

ছোট পর্দায় তিনি অনেক বড় হিট সিরিয়াল করেছেন নাম ‘ বোঝেনা সে বোঝেনা’। ছোটো থেকে বড় সবাই সে সিরিয়ালের ভক্ত ছিলযদিও। তারপর ২০১৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। এরপর যশের বেশির ভাগ সিনেমাই ফ্লপ হয়। যশ দাশগুপ্তের অভিনয় নিয়ে ট্রোলিংও শুরু হয়। 

  • হিরণ চ্যাটার্জি: 

২০০৭ সালে ‘নবাব নন্দিনী’ দিয়ে টলিউডে যাত্রা শুরু তার। তারপর ভালবাসা ভালবাসা, জ্যাকপট শুরুটা মন্দ না হলেও কিছু বছর পর হিরনের গায়ে লেগে যায় ফ্লপ হিরোর তকমা। যদিও হিরণ নানাভাবে দর্শকদের মন জেতার চেষ্টা করলেও সেই একঘেয়েমি অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি তিনি। 

  • বনি সেনগুপ্ত: 

সুখেন দাসের নাতি বনি-র অভিনয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। হিরো সুলভ চেহারা নয় বলেই বোধহয় ফ্লপ। ২০১৪ সালে ‘বরবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে শুরু বনির। তারপর ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’-র মত গ্র্যান্ড রিলিজ। কিন্তু বনির সব সিনেমায় বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। 

  • মিমো চক্রবর্তী: 

সুপার ডুপার ফ্লপ। মিঠুনের ছেলে হলে কি হবে মিমো একেবারেই অভিনয় পারেন না। ২০১৩-তে রকি সিনেমার মাধ্যমের টলিউডে পা রেখেছিলেন। কিন্তু রকি দেখে বাঙলার মানুষ শুধু হেসেছিল। দক্ষিণী এবং বলিউড সিনেমায় কম বেশি নাম করলেও মিমো বাংলা সিনেমার জগতে একেবারে সুপার ফ্লপ।