SFI: সন্ধ্যে গড়াতেই হবু শিক্ষকদের আন্দোলনে সৃজন-দীপ্সিতারা

পার ২৪ ঘন্টারও বেশি সময়। খাওয়া-দাওয়া ও জল গ্রহণে না ১০ ঘন্টার উপর। নিয়োগপত্র হাতের না আসা পর্যন্ত আমরণ অনশনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। সোমবার…

পার ২৪ ঘন্টারও বেশি সময়। খাওয়া-দাওয়া ও জল গ্রহণে না ১০ ঘন্টার উপর। নিয়োগপত্র হাতের না আসা পর্যন্ত আমরণ অনশনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। সোমবার রাতভর বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার করুণাময়ী চত্বরে বিরাট ধর্নায় বসেছেন ২০১৪ টেট পাশ নট ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা। আজ সন্ধ্যা গড়ানোর সাথে সাথেই সন্ধ্যায় তাদের সাথে কথা বলে এবং তাদের কোন বাড়াতে উপস্থিত এসএফআই(SFI)। আন্দোলনরত হবু শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করলেন সৃজন দীপ্সিতার মতো এসএফআইয়ের নামজাদা নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী টেট পাশ করার পরেও দুইবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ তাদের অভিযোগ, সরকারের দুর্নীতির কারণে বারবার বঞ্চিত হতে হয়েছে তাদের। এবার স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন চাকরি প্রার্থীরা। তাদের বক্তব্য, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে। যোগ্যদের চাকরি না দেওয়া অবধি ধর্না চালিয়ে যাবেন তারা৷ যতদিন পর্যন্ত না মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, ততদিন পর্যন্ত ধর্না তুলবেন না তারা।

অন্যদিকে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের কথায়, আজকে যারা নট ইনক্লুডেড, তাঁর কিন্তু পর পর দুইবার ইন্টারভিউ দেওয়ার অর্থাৎ রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার পরেও তাঁরা এম প্যানেল হননি। তাঁরা আন্দোলন করছেন। আমরা কখনই বলতে পারি না তারাই শুধুমাত্র আবেদন করবেন। তাঁরা কোনও ইন্টারভিউ দেবেন না আর অথচ তাঁদেরকে নিয়োগ করতে হবে। “তাঁদের দাবি অন্যায্য” বলে দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি এই ধরনের আন্দোলনকে ইন্ধন জোগাচ্ছেন বলেও দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। আন্দোলনকে সমর্থনকে বোর্ডের তরফে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বয়স অনেকের পেরিয়ে গেলেও সেখানে বোর্ডের তরফে নিয়মভঙ্গ করার সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয় ২০১৪ সালে টেট পাশ চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সব নিয়ে আমি এখন আলোচনা করছি না। এটা এখন বিচারাধীন বিষয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তোমরা আদালতকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো। এখন নিয়োগ নিয়ে সরকারের মনোভাব কী? সেদিকে তাকিয়ে চাকরি প্রার্থীরা। 

যদিও চাকরি প্রার্থীদের পাশে রয়েছি। এই বার্তা বীরভূম থেকে দেন সিপি(আই)এমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এরপরেই উপস্থিত হল বাম ছাত্র নেতৃত্ব। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এসএফআই নেতৃত্ব।