Manik Bhattacharya : আই অ্যাম বার্নিং ইন দ্য কারাগার, ক্ষোভ উগরে দিলেন মানিক

সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

Manik Bhattacharya

সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কখনও দাবি করা হয়েছে তাঁর দুটি পাসপোর্ট আবার কখনও তাঁর লন্ডনের বাড়ির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি তাঁর প্রতিবেশীর নাম নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। মঙ্গলবার আদালতেই সেবিষয়ে সরব হলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিজেই। জানালেন, আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে।

দিনের পর দিন ধরে তদন্ত চলছে। কিন্তু কোনও অগ্রগতি হছে না। মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীর তরফে এদিন জামিনের আবেদন জানানো হয়। এরপরেই ১০ মিনিটের বিরতি চলছিল আদালতে। সেই সময় কাঠগড়া থেকেই মানিককে বলতে শোনা যায়, আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমার দুটো পাসপোর্ট রয়েছে, আসলে আমার একটা পাসপোর্ট। আর একটি আমি রিনিউ করিয়েছিলাম। আমার যদি দুটো পাসপোর্ট থাকে, আমার যদি লন্ডনে বাড়ি থাকে, তাহলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হোক। কে আমার এই সম্মান আবার ফিরিয়ে দেবে?

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এরপরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমার যাদবপুরে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে যাদবপুরে। এমনকি ১৯৮৯ সালে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বলেই দাবি করেন তিনি। পরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। যাদবপুরে সেই ফ্ল্যাট ছিল ১১০০ বর্গফুটের। সেটাকে কী লন্ডন অধিগ্রহণ করেছে? আত্মপক্ষ বলতে না দেওয়ার কারণে সামাজিক সম্মানহানি হচ্ছে বলেও দাবি করেন মানিক।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, হেফাজতে থাকা এক ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। শুনে বিচারপতির প্রশ্ন মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে। সেখানে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয় হ্যাঁ। এমনকি মানিকের লন্ডনের বাড়ির ঠিকানা এবং তাঁর প্রতিবেশীর নামও জানা বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

মানিকের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, মানিকের বিদেশযাত্রা সম্পর্কিত তথ্য তাঁর কাছে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, সব তদন্ত আমি করলে তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাস কি করেছেন? এমনও মন্তব্য করতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।