আরজি কর (RG Kar case) কাণ্ডে চারতলার সেমিনার রুম ভাঙা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। অপরাধস্থলের প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এই ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি করেছিল আন্দোলনরত ডাক্তার ও বিরোধীরা। যদিও ঘর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কারণই পাল্টা যুক্তি দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর পেছনে প্রাক্তণ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) নির্দেশ ছিল। বৃহস্পতিবার সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
প্রতিবাদের আবহে শুরু পুজোর প্রস্তুতি, তৎপর লালবাজার-পুরসভা
ডাক্তারি পড়ুয়া মৃত্যুর ঠিক তিন দিন পর অর্থ্যাৎ ১২ অগাস্ট পূর্ত দফতরে (West bengal PWD) চিঠি লেখেন সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। ঘর সংস্কারের কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ হিসেবে স্বাক্ষরও করেছেন চিঠিতে। আর এই চিঠি সামনে আসতেই বেড়েছে শোরগোল।
সিরিজ নিয়ে তুমুল বিতর্ক, অবশেষে বদল আনার সিদ্ধান্ত ‘আইসি ৮১৪’ এর নির্মাতাদের
আরজি করে কর্তব্যরত পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে ওই চিঠি লিখেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তারিখ, ১০ অগস্ট। অর্থাৎ, নির্যাতিতার মৃত্যুর ঠিক পরের দিন। জরুরি ভিত্তিতে আরজি করের বিভিন্ন বিভাগে ডক্টরস’ রুম এবং লাগোয়া শৌচালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এই বিষয়ে সন্দীপের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের সচিব ও মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টরের সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হয়েছে বলেও জানান সন্দীপ।
চারতলার ওই ঘর ভাঙা নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। কেন হঠাত্ করে এত তড়িঘড়ি সংস্কারের প্রয়োজন পড়ল সেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ ওই ঘরে ছিল ফুসফুস বিভাগ, ব্রঙ্কোস্কপির মতো একাধিক বিভাগ রয়েছে ওই চারতলাতে।
লক্ষ্মীবারে হুড়মুড়িয়ে কমল সোনার দাম, কলকাতায় ২৪ ক্যারেট সোনার দাম কত?
আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের নির্দেশেই যে সংস্কারের কাজ চলছিল, সে কথা বিভিন্ন সূত্র মারফত আগে থেকেই উঠে এসেছিল। যে চারতলার সেমিনার হলে নিয়ে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সন্দীপের স্বাক্ষরিত নির্দেশ সামনে আসতেই আরও বেশি করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন তড়িঘড়ি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে।