আর নয়! ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভে এসিপিকে সরাল কলকাতা পুলিশ

আর জি কর কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তাদের রদবদল কলকাতা পুলিশের। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বা এসিপিকে সরানো হল। রবিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আর জি…

Kolkata police acp change new OC appointed for RG Kar case.

আর জি কর কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তাদের রদবদল কলকাতা পুলিশের। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বা এসিপিকে সরানো হল। রবিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আর জি কর পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল। এদিন বিকালে হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। তারপরই বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি মতো এসিপি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি স্পষ্ট বলেন,

“এসিপিকে নিয়ে পড়ুয়াদের আপত্তি ছিল। আমি আজ তাঁকে এখান থেকে সরিয়ে নিলাম।”

কাউকে সন্দেহ হলে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হবে, পড়ুয়াদের আশ্বাস সিপি বিনীত গোয়েলের

   

গোটা তদন্তে পড়ুয়া বিক্ষোভরত ডাক্তারদের থেকে এসিপি সবকিছু জেনে বুঝে লুকোচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপর পুলিশের বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরদার হতেই টনক নড়ে পুলিশের। তাই এসিপিকে তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে এমন কাউকে সন্দেহ হলেই তাঁকে জানানোর আর্জি জানান পড়ুয়াদের কাছে।

এছাড়াও আর জি করের ভেতরে পুলিশ ফাঁড়িতেও নতুন ওসিকে নিয়োগ করা হয়েছে জরুরিকালীন ভিত্তিতে। এতদিন ফাঁড়ি থাকলেও ওসি ছিল না বলে সরব হয় পড়ুয়ারা। তারপর দ্রুত ওসি নিয়োগ করে ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে নিল পুলিশ।

পাশাপাশি যত দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীকে চরম শাস্তি দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

সেবির মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’, হিন্ডেনবার্গ কী বিরোধীদের দাবিকেই মান্যতা দিল?

সিপিকে সামনে পেয়ে নিজেদের দাবিও তুলে ধরেন বিক্ষোভরত ডাক্তারেরা। হাসপাতালের সুপার, কার্ডিয়াক বিভাগের প্রধান সহ অনেকের ইস্তফা দাবি করেছেন বিক্ষোভরত ডাক্তারেরা। কিন্তু সেই বিষয় কিছু কথা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

জুনিয়ার ডাক্তারদের আশ্বাস দিয়ে সিপি বলেন, “গোটা বিষয়টি স্বচ্ছতা বজায় রেখে তদন্ত হচ্ছে। কারও কাউকে সন্দেহ হলে আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখব।”

আমেরিকার দাবি না মানায় ক্ষমতাচ্যুত হলাম, ভারত থেকে বার্তা হাসিনার

এদিকে আরজিকর হাসপাতালে (R.G. Kar Hospital) পড়ুয়া তরুণী চিকিত্সক হত্যার ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে একজনকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের মামলা রুজুএ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। পাশাপাশি তাঁর হেডফোনের ছেঁড়া তার থেকেই তাঁকে শনাক্ত করে পুলিশ। শনিবার সকালেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।