যেন যুদ্ধ! চিন সীমান্তের লাদাখ থেকে এয়ারলিফ্টে বাহিনী আসছে বাংলায়

আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। রাত পোহালেই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট। আদালতের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই হবে শনিবারের পঞ্চায়েত ভোট। হাইকোর্ট প্রস্তাব করেছিল…

যেন যুদ্ধ! চিন সীমান্তের লাদাখ থেকে এয়ারলিফ্টে বাহিনী আসছে বাংলায়

আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। রাত পোহালেই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট। আদালতের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই হবে শনিবারের পঞ্চায়েত ভোট। হাইকোর্ট প্রস্তাব করেছিল যে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য। এছাড়া, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সমান ভাবে মোতায়েন করা হোক। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় কাটেনি এখনও।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। প্রথম দফায় রাজ্যে আসে ২২ কোম্পানি। পরে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী এসেছে রাজ্যে। এবার বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে।

   

রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চিঠি থেকে জানা গিয়েছে চিন সীমান্তের লাদাখের লেহ থেকে এয়ার লিফটিং করে আনা হচ্ছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। লেহ থেকে রওনা দিয়েছে। পৌঁছাবে পানাগড়ে। এরপর সেইখান থেকে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করা হবে।Central paramilitary forces deployed for security during Hanuman Jayanti celebrations

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।

Advertisements

আলোচনায় উঠে আসছে বিধামসভায় শূন্য বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের ভোট লড়াই। এই জোট এবং আইএসএফ একসাথে ভোটে নেমেছে। ভোটের আগে শাসকদল ও বিরোধীদল ছেড়ে বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হওয়ার প্রবণনতা বেশি। গত পুরভোটে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের জোট ভোট প্রাপ্তির হারে মূলত বিরোধী শক্তির ভূমিকায় উঠে এসেছে। তাদের পক্ষে পঞ্চায়েত ভোটে সেই উত্থান ধরে রাখা যাবে কিনা তাও চর্চিত।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই কার? রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনা তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সাথে এবারের ভোটের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কয়েকটি পকেট এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক দূর্বলতায় ভূগছে।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসক ও বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতার রাজনৈতিক শক্তির পরিচয় স্পষ্ট হবে। তেমনই আছেন বিরোধীদের কয়েকজন দাপুটে নেতা। শাসক শিবির তৃণমূলের রথী মহারখীদের মধ্যে কাজল শেখ, উদয়ন গুহ, সাবিনা ইয়াসমিন, আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লা, অখিল গিরি উল্লেখযোগ্য। বিরোধী পক্ষ শুভেন্দু অধিকারী (বিজেপি), দিলীপ ঘোষ (বিজেপি), নিশীথ প্রামানিক(বিজেপি), অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস), সুশান্ত ঘোষ (সিপিআইএম), নওশাদ সিদ্দিকি (আইএসএফ), দেবলীনা হেমব্রম (সিপিআইএম) এর নাম বিশেষ উল্লেখ্য।