উত্তপ্ত দিনহাটা। কালমাটি এলাকায় চলল একের পর এক গুলি। গুলিবিদ্ধ তিন বিজেপি কর্মী। বিজেপি কর্মীদের ওপর এই হামলার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসি। পঞ্চায়েত ভোটে রক্তাক্ত উত্তরবঙ্গের (coochbehar) কোচবিহার। পরপর খুনের ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চরমে।
অভিযোগ গতকাল রাতে, দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের কালমাটি এলাকায় চারজন বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীরা। এর পর ঘটনাস্থলে চলে একের পর এক গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিন। এর সঙ্গে বেধড়ক মারধর করা হয়, আরো এক বিজেপি কর্মীকে। এই এলাকাটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। বিএসঅফ ক্যাম্প থাকলেও হামলা চলছে।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মিলন বর্মন, চন্দন বর্মন ও অর্জুন বর্মন। এ সঙ্গেই মারধর করা হয় নারায়ণ বর্মনকে। এই গোটা ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা এক তৃণমূল কর্মীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আহতরা বর্তমানে দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কালমাটির মতো পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দিনহাটার বাইশগুড়ি এলাকায় রাতভর চলেছে বোমাবাজি। সকাল থেকে থমথমে গোটা এলাকা। গোটা ঘটনায় শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।তবে অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল।
বাইশগুড়ি এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাইক বাহিনী এসে গোটা এলাকায় তান্ডব চালায় বেশ কিছু বাড়িতে হামলা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর সঙ্গেই একের পর এক বোমাবাজি চলে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের দাবি তৃণমূল এইভাবে ভয় দেখিয়েই সাধারণ মানুষ যেন ভোট দিতে না যায় তার ব্যবস্থা করতে চাইছে। গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জেলায় শাসক তৃ়নমূল বনাম বিরোধী বিজেপির সংঘর্ষে রক্তাক্ত পরিস্থিতি। দুই শিবিরের দুই মন্ত্রীর পরস্পরের প্রতি হুঁশিয়ারি চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের এলাকা ভেটাগুড়িতে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর হুঁশিয়ারি, পায়ে দড়ি বেঁধে ছ্যাচরাতে ছ্যাঁচরাতে নিয়ে যাবে।’ এর পরেই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু কোচবিহারে।
পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই কার? রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনা তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সাথে এবারের ভোটের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কয়েকটি পকেট এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক দূর্বলতায় ভূগছে।