নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment corruption) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (freezing his bank account) করা হল। তদন্তের স্বার্থেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই (CBI)।
জানা গেছে, তাপসের ১২ টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখানে বিরাট অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই টাকার উৎস জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাপস মণ্ডলকে।
সূত্রের খবর, তাপসের ১২টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে তাপসের ব্যক্তিগত ও শিক্ষক সংগঠনের অ্যাকাউন্ট ছাড়াও রয়েছে ৬টি বেসরকারি কলেজের অ্যাকাউন্ট। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে চিঠি পাঠিয়ে ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে যাবতীয় লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপসের আর কোনও অ্যাকাউন্ট রয়েছে কি না, খোঁজ চলছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯ মার্চ অবধি তাপসকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রাথমিকে নিয়োগে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী তাপস একাধিক তথ্য লুকানোর চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, তাপস অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রভাবশালীদের মারফত চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন।
সিবিআইয়ের কাছে ম্যারাথন জেরার সম্মুখীন হয়েছেন তাপস মণ্ডল। একাধিকবার জেরার সম্মুখীন হওয়ার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেুফতার করা হল তাপস মণ্ডলকে। অভিযোগ, একাধিক তথ্য লুকানোর চেষ্টা করছেন তাপস। সেদিন গ্রেফতার করা হয় নীলাদ্রি নামে আরও এক মিডলম্যানকে। সিবিআই দাবি করে. তাপস ও নীলাদ্রি জেরায় সহযোগিতা করছে না। যদিও তাপসের দাবি ছিল, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় তিনি।