Recruitment corruption: চাকরি প্রার্থীর মৃত্যুর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি যোগে বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতির

Recruitment corruption: ঘুষ দিয়েও চাকরি হয়নি। বাধ্য হয়েই আত্মহননের পথ বেছে নেন লালগোলার চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমান। পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল, টাকা নিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।

Justice Rajasekhar Manthar

Recruitment corruption: ঘুষ দিয়েও চাকরি হয়নি। বাধ্য হয়েই আত্মহননের পথ বেছে নেন লালগোলার চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমান। পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল, টাকা নিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেকারণেই আত্মহত্যা করে ওই চাকরি প্রার্থী। এদিন মামলার পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, আবদুর রহমানের মৃত্যুর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে।

তাঁর প্রশ্ন, কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না? কারণ, এই ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দিবাকর কনুই নামে এক ব্যক্তিকে টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি মেলেনি। এমনটাই সুইসাইড নোটে লিখে রেখেছিলেন আবদুর রহমান। এমনকি ওই ব্যক্তি আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করাবেন।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দিবাকরকে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বিচারপতির প্রশ্ন, কেন দিবাকরকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? একইসঙ্গে আদালতের তরফে এমনটাও বলা হয়, আবদুর রহমানের আত্মহত্যার পর তাঁর পরিবারের তরফে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তে এখনও কোনও ফাঁক নেই। কিন্তু এই মুহুর্তে নিয়োগ দুর্নীতির গোটা তদন্তটা করছে সিবিআই। তাই তাদের এই মামলায় ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। এমনটাই মনে করছে আদালত।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেলে রয়েছে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা। এখন আবদুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে।