Partha Chatterjee: অতিরিক্ত চার্জশিট থেকে অব্যহতি পেতে আদালতে আপিল পার্থর

আদালতের দ্বারস্থ জেল হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য নগর দায়রা আদালতে আবেদন জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন…

Partha Chatterjee avoided multiple questions during the CBI interrogation

আদালতের দ্বারস্থ জেল হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য নগর দায়রা আদালতে আবেদন জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee)। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী চলতি বছরে স্কুল সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হন। এই মুহুর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন তিনি। এদিন পার্থর হয়ে আদালতে আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। জানিয়েছেন, অতিরিক্ত চার্জশিট থেকে অব্যহতি চান পার্থ।  

গত ১৯ সেপ্টেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা সম্পর্কে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়-সহ ৬ টি সংস্থার কথা উল্লেখ ছিল। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়েই উল্লেখ করা ছিল। এরপর ৭ ডিসেম্বর ব্যাঙ্কশাল আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা করে ইডি। যেখানে মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাপস মণ্ডলের নামের কথাও উল্লেখ ছিল। 

ইডি সূত্রের খবর, সম্প্রতি আদালতকে দেওয়া অতিরিক্ত চার্জশিটে মানিক সহ পার্থর ভূমিকা নিয়েও লেখা রয়েছে। সেখান স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে মানিক দুর্নীতির কিংপিন হলে পার্থ ছিল মাস্টারমাইন্ড। বলা হয় বড় ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেটাই আপত্তি তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের। এর আগে, বড় ষড়যন্ত্র কেন বলা হচ্ছে বলেও প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে গত ২২ জুলাই থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। পরে বারবার ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, নিজের পদের ফায়দা তুলে একাধিক জায়গা থেকে টাকা আদায় করত পার্থ ও মানিক। এমনকি বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজগুলিকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার সময়েও এরা কোটি কোটি টাকা নিত।   

এখানেই শেষ নয়, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, টাকার বিনিময়ে যারা অযোগ্য তাঁদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হত। এমনকি ভুল প্রশ্নপত্র তৈরি করে যোগ্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হত। সমস্ত কিছু জানার পরেও মন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি? প্রশ্ন তুলছে তদন্তকারী অফিসাররা।