Purulia: পুরুলিয়ার শীতে কাবু দার্জিলিং!

কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু গোটা বাংলা। তারই মধ্যে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে জোর টক্কর পুরুলিয়ার। জানা যাচ্ছে দার্জিলিং এবং পুরুলিয়া, দুই জায়গাতেই রবিবারের তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া…

Chilly winter

কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু গোটা বাংলা। তারই মধ্যে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে জোর টক্কর পুরুলিয়ার। জানা যাচ্ছে দার্জিলিং এবং পুরুলিয়া, দুই জায়গাতেই রবিবারের তাপমাত্রা ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হাওয়া মোরগ সূত্রে খবর আজ দমদমে ১১.২ ডিগ্রি এবং আলিপুরে ১২.৯ ডিগ্রি। জানুয়ারির শুরুতে বড়সড় পারদ পতন দেখা যায়নি। তবে গর কয়েকদিন ধরে কলকাতায় তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে এরম জাঁকিয়ে ঠান্ডা আগামী ২ দিন মতো থাকবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার থেকে বদলাবে এই চিত্র কারণ ঝঞ্ঝার প্রভাবের ফলে অনেকটাই ঠান্ডা কমবে। এছাড়া বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৩ দিন।

অপরদিকে, দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় প্রচন্ড ঠান্ডা পুরুলিয়ায়। রীতিমতো অন্যান্য জেলাগুলিতে টেক্কা দিচ্ছে পুরুলিয়া। এমনকী দার্জিলিংকেও দিচ্ছে কড়া টক্কর। রবিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে পুরনো সব রেকর্ডকে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

জেলার পাহাড়ি এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা বেশ কম বলেই দাবি করছে স্থানীয়রা। জেলাগুলিতে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকেই জেলার সাধারণ মানুষকে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে। তবে এদিন খুব বেশি কুয়াশা দেখা যায়নি।

একই চিত্র বাঁকুড়াতে। বাঁকুড়ায় রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডায় রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। যারা প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়েছেন তারা আপাদমস্তক ঢেকেছেন গরম পোশাকে। ভোরে কুয়াশা দেখা গেলেও বেলা বাড়তেই কুয়াশার প্রভাব কেটেছে। কুয়াশা কাটতেই বেড়েছে উত্তুরে হিমেল বাতাসের প্রভাব। শহর-মফস্বল সর্বত্রই সাধারণ মানুষকে রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে হাত পা সেঁকে নিতে দেখা গিয়েছে। তবে টানা ৩ দিন ধরে বাঁকুড়াতে এমন ঠান্ডায় এই শীতের মরশুম চুটিয়ে উপভোগ করছেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আসা পর্যটকরা।

বীরভূমেও কাঁপছে সকলেই। রবিবার সকাল থেকে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার থেকেও কুয়াশার দাপট বেশ খানিকটা বেশি ছিল বীরভূমে।