নিয়োগে চুড়ান্ত দুর্নীতি, মাদ্রাসা কমিশন তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিচারপতির

স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতিতে  সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, মন্ত্রীর কন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে প্রবল আলোচিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তিনি মাদ্রাসা কমিশন…

স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতিতে  সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, মন্ত্রীর কন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে প্রবল আলোচিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তিনি মাদ্রাসা কমিশন নিয়োগ দুর্নীতিতে কড়া নির্দেশ দিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে কমিশন তুলে দিতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদ্রাসা কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানি চলাকালীন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকোবেন না। নতুন করে অনিয়ম খুঁজে পেলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তুলে দেব।

অভিযোগ, অপেক্ষাকৃত কম মেধার ছাত্রছাত্রীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। অথচ যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করেছে। মাদ্রাসা কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই হয়েছে ওই নিয়োগ।  ২০১০ সালে মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ আইনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার থাকলেও। ২০১৩-১৪-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা বঞ্চিত হন।

বিচারপতি কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, কমিশন কি সংবিধানের উপরে মনে করে নিজেদের? ওই টাকা ৭ জন মামলাকারীকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মাদ্রাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আকমল হোসেন সহ সাত জন। এদের মধ্যে ছিলেন দু’জন হিন্দু এবং পাঁচ জন মুসলমান প্রার্থী। অভিযোগ ২০১৩-২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হন তারা। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু তা হয়নি।

সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন । এই পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা কমিশনের বিরুদ্ধেও নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাদের সতর্ক করে আদালত। মাদ্রাসা মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ২০১০ সালের মাদ্রাসা কমিশনের রুল অনুযায়ী বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিচারপতি বলেন, এর আগে তাঁর এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলা দু’বার এসেছে। তৃতীয়বার এই রকম অভিযোগ এলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।