Kolkata: মাওবাদীদের বিপুল অর্থ যোগানদার কলকাতার মহেশ আগরওয়াল ধৃত

Kolkata: শ্রেণিশত্রু হিসেবে চিহ্নিত। তবে সময় মতো শ্রেনিশত্রুর সাহায্য নিতে কোনও অপরাধ নেই। এমনই যুক্তিতে সিপিআই (মাওবাদী) দীর্ঘ সময় পুঁজিপতি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেয়।…

mahesh

Kolkata: শ্রেণিশত্রু হিসেবে চিহ্নিত। তবে সময় মতো শ্রেনিশত্রুর সাহায্য নিতে কোনও অপরাধ নেই। এমনই যুক্তিতে সিপিআই (মাওবাদী) দীর্ঘ সময় পুঁজিপতি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেয়।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এমনই এক মাওবাদী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম মহেশ আগরওয়াল। ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী সংগঠনকে আর্থিক সাহায্যের অভিযোগে NIA গতরাতে সল্টলেক থেকে মহেশ আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মহেশ বেশ কয়েকবছর ধরেই এই ধরণে সাহায্য করছেন। মাওবাদী সংযোগে জড়িত মহেশ আগরওয়ালের দুই ভাই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলেছে। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়।

জানা গিয়েছে আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন এম.ডি মহেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে সন্দেহ দেখা দেয় ঝাড়খণ্ড পুলিশের। রাঁচি এনআইএ গোয়েন্দারা মাওবাদী সংগঠনের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে মহেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে সূত্র পায়। যোগাযোগ করা করা কলকাতা এনআইএ গোয়েন্দাদের সঙ্গে। এরপরেই কলকাতায় এনআইএ আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে প্রমান সংগ্রহ করেন। প্রমান আসতেই সল্টলেক থেকে মহেশকে ধরা হয়। ধৃত মহেশ আগরওয়ালের ভাই অমিত আগরওয়াল এবং বিনীত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে এসেছে মাওবাদী সংযোগ প্রমাণ।

ঝাড়খণ্ডের মগধ ও আম্রপালি প্রকল্পে কয়লা লোডিং এবং খনির জন্য কাজ করা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মহেশ আগরওয়াল ও তার দুই ভাই এমন সংযোগ করত। সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেড অধীন ঝাড়খণ্ডের ছাতরা জেলার মগধ আম্রপালি কয়লা খনি। এই খনি অঞ্চল ঘিরে মাওবাদী সংগঠন সক্রিয়।

তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে রাচি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলো এনআইএর বিশেষ আদালত। মাওবাদীদের অর্থ সাহায্যের অভিযোগের এনআইএর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মহেশ আগরওয়াল কে নতুন করে করণা পরীক্ষা করা হলে তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেন এনআইএর তদন্তকারী দল তারপরেই এনআইএর বিশেষ আদালত বিচারপতি মহেশ আগরওয়াল কে তিন দিনের রিমান্ডে রাচি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।