Kolkata: জাদুঘরে গুলি চালানোর সময় অস্ত্রাগারের দায়িত্বে ছিল অক্ষয়, বড় কিছু ঘটাতে পারত

‘অপারেশন মোজো’ চালিয়ে জাদুঘরে গুলি চালানো সিআইএসএফ রক্ষী অক্ষয় কুমার মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ৷ অক্ষয়ের গুলিতে নিহত এক। জেরায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ অ্যাসিস্ট্যান্ট…

‘অপারেশন মোজো’ চালিয়ে জাদুঘরে গুলি চালানো সিআইএসএফ রক্ষী অক্ষয় কুমার মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ৷ অক্ষয়ের গুলিতে নিহত এক। জেরায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ ছাড়াও নিশানায় ছিল এএসআই রঞ্জিত কুমার সারেঙ্গী সহ আরও দুই অফিসার৷ কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা৷

পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যারাকেই থাকতেন অক্ষয় কুমার মিশ্র। ঘাতক জওয়ানের দায়িত্বেই ছিল সিআইএসএফের অস্ত্রভাণ্ডার। তার চাবিও ছিল অক্ষয়কুমার মিশ্রর কাছে। এমনকি গতকাল যে বিল্ডিংয়ে অক্ষয় লুকিয়ে ছিলেন, সেখানেই রয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বুলেট ঠাসা অস্ত্রাগার অক্ষয় কাল ধরা না দিলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। এমনটাই মনে কিরা হচ্ছে৷

   

পুলিশ সূত্রে খবর, বারবার অক্ষয়কে তাই আত্মসমর্পণের জন্য বোঝানো হয়েছে৷ পুলিশ বিনা অস্ত্রে কাছে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কথা বলতে রাজি হন অক্ষয়। তাঁর সব কথা শোনা হবে বলে আশ্বস্ত করার পর আত্মসমর্পণ। খবর পুলিশ সূত্রে।

অক্ষয় পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েকমাস ধরেই তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা চলত। এমনকি বাবার মৃত্যুর জন্য ছুটি দেওয়া হয়নি তাঁকে। সেখান থেকে ক্ষোভের সঞ্চার হতে থাকে৷ তারপর শনিবার সন্ধ্যায় চলে রোমহর্ষক গুলিকাণ্ড। গতকালের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ এমনটাই জানা গেছে।

জখম সিআইএসএফেরর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডান হাতের কনুইয়ের নীচে গুলি লাগলেও তা হাত ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। ফলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি। এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর৷ তবে সুবীরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল৷