Jadavpur University: স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর অন্যতম ওয়ান্টেড আলু যাদবপুর থানায়

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের রহস্যজনক মৃত্যুর অন্যতম ওয়ান্টেড অরিত্র ওরফে আলুর দেখা মিলল। মঙ্গলবার সে যাদবপুর থানায় হাজিরা দেয়। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর আলুর নিখোঁজ থাকা…

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের রহস্যজনক মৃত্যুর অন্যতম ওয়ান্টেড অরিত্র ওরফে আলুর দেখা মিলল। মঙ্গলবার সে যাদবপুর থানায় হাজিরা দেয়। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর আলুর নিখোঁজ থাকা নিয়ে প্রবল শোরগোল পড়েছে। মঙ্গলবার সে ফেসবুকে জানায়, কাশ্মীরে ছিলাম তাই কিছু জানতাম না। আমি নির্দোষ। কলকাতায় ফিরে তদন্তে সাহায্য করব। সন্ধের কিছু পর আলু যাদবপুর থানায় আসে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ ব়্যাগিং। তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। গত ৯ আগস্ট স্বপ্নদীপের রক্তাক্ত দেহ মিলেছিল। তার পর থেকে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু নিখোঁজ ছিল।

   

আলু ফেসবুকে লিখেছে ৯ অগস্ট রাতে আমি যাদবপুরের মেন হস্টেলে ঢুকিইনি। এমনকী, তার আগের বেশ কিছুকাল আমি হস্টেলে যাইওনি। আমি সেই রাতে কেপিসি হাসপাতালেও গিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে, গোটা অভিযোগটাই অবান্তর। আশা করি, তদন্ত করলে এই কথা সহজেই প্রমাণ হবে।

তবে আলুর দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপার্টমেন্টের খাতায় ৯ তারিখের পর অরিত্র সই কেন উঠছে প্রশ্ন। অরিত্র ওরফে আলুর দাবি,১০ অগস্ট, বৃহস্পতিবার, আমি রাজধানী এক্সপ্রেসে নয়া দিল্লি রওনা দিয়েছিলাম। সেখান থেকে পরের দিন শ্রীনগরগামী ফ্লাইট ধরি। আমাদের গন্তব্য ছিল কাশ্মীর গ্রেট লেকস।কলকাতার বাইরে বলা ভাল নেটওয়ার্ক পরিষেবার বাইরে থাকায় আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো আমার কাছে পৌঁছয়নি। এই ট্রেকে আমার সঙ্গে আরও অনেকেই ছিলেন। এবং, যাঁরা এই ট্রেকিং রুটের ব্যাপারে অবহিত, তাঁরা জানেন, এখানে নেটওয়ার্কের বালাই নেই। প্রায় চারমাস আগেই (২২ ও ২৩ এপ্রিল) টিকিট কাটা হয়েছিল ট্রেন ও ফ্লাইটের।’ অরিত্র ট্রেন ও ফ্লাইটের টিকিটের ছবিও ফেসবুকে দিয়েছে।

আলু জানায়, আজ মনে হচ্ছে, আমার সেদিন কলকাতা ছাড়া উচিত হয়নি। এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে কতখানি আহত, অন্তত তা প্রমাণ করার জন্য আমার থেকে যাওয়া উচিত ছিল এটাও মনে হচ্ছে। কলকাতায় ফিরে আসছি। বাঁশদ্রোণীতে আমার ফ্ল‍্যাটেই আমাকে পাওয়া যাবে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত সুসম্পন্ন হোক। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক।