প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন বোর্ড পরিচালনায় তাঁর নির্দেশই ছিল শেষ কথা। এমন অনেক সিদ্ধান্ত রয়েছে যা বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদেরও জানানো হত না। ওএমআর শিট ধ্বংসের নির্দেশও সেই তালিকায় পড়ছে। প্রাথমিকে টেট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন পর্ষদের আইনজীবী। ২০১৭ সালের টেট দুর্নীতি মামলায় আদালতে পর্ষদের তরফে বলা হয়েছে যে, ওএমআর শিট ধ্বংস করা হয়েছিল তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অনুমোদনেই!
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে। পর্ষদের বোর্ড সদস্যদের কোনও পরামর্শ ছাড়াই এটা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বেআইনি হওয়া সত্বেও ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের অনুমোদনে। তিনি নিজেই এই কাজ করিয়েছেন। মানিক ভট্টাচার্য এককভাবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিতেন। তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের কিছু জানানো হয়নি।
তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সার হয়! এতদিন জানতেন মমতা, ভুল ভাঙতেই চমকে উঠলেন নবান্নে
যা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেমন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ওই সময়কার আসল ‘মিটিং রেজিলিউশন’ কপি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন (১২ জুলাই) আদালতে জমা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে পর্ষদের আইনজীবীর দাবি, বোর্ড কোনও রেজিলিউশন সেই সময় নেয়নি।
প্রপ্রাথমিকে টেট সহ নিয়োগ নিয়োগ দুর্নীতি প্রকৃত দোষীকে খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওএমআর শিটের খোঁজে সার্দান অ্যাভিনিউতে হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছে কম্পিউটার ও সাইবার বিশেষজ্ঞ।