লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে অশান্তিতে আত্মহত্যা যুবকের

দুজনেই বিবাহিত। জড়িয়েছেন নতুন প্রেমের সম্পর্কে। যদিও প্রেমিকা ডিভোর্সি। কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীয়ের সম্পর্ক ছিল ভালোই। কিন্তু হঠাৎই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় প্রেমিক।…

নিয়োগ দুর্নীতির (Bengal SSC Scam) জেরে আদালতের নির্দেশের পর বাতিল চাকরির তালিকা বের হয়েছে। অভিযোগ, যোগ্য প্রার্থীদের টপকে যে সব অযোগ্যরা তৃণমূল নেতাদের ধরে বিপুল টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল।

দুজনেই বিবাহিত। জড়িয়েছেন নতুন প্রেমের সম্পর্কে। যদিও প্রেমিকা ডিভোর্সি। কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীয়ের সম্পর্ক ছিল ভালোই। কিন্তু হঠাৎই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় প্রেমিক। কিন্তু কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আলাপ হয় হাওড়া লিলুয়ার বাসিন্দা বছর বত্রিশের অনিক সাহা ও বেহালার পর্ণশ্রীর বাসিন্দা রিম্পা চক্রবর্তীর। সেই আলাপ থেকে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্কের শুরুতেই দুজনেই জানতেন তাঁরা বিবাহিত। যদিও বেশ কিছুদিন আগে স্বামীর সঙ্গে রিম্পার ডিভোর্স হয়ে যায়। রিম্পার একটি সাত বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে।

সূত্রের খবর, অনিক সাহা বিবাহিত হওয়া সত্বেও রিম্পার সঙ্গে ‘লিভিং পার্টনার’ হিসাবে থাকতে শুরু করেন। এরপরই রিম্পা অনিককে বহুবার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু অনিক তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। এমনকি অনিক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে যোগাযোগও রাখতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দু’মাস অনিক ও রিম্পার মধ্যে ঝামেলা তুঙ্গে ওঠে। সেই সময় রিম্পা অনিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। অনিকের ১৪ থেকে ১৫ দিন জেল হেফাজত হয়। এরপর জামিন পেয়ে যখন ছাড়া পান, তখন আবার দুজনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ তাঁদের সম্পর্কে ঘটে ছন্দপতন।

বুধবার রাতে আবার ঝামেলা শুরু হয় রিম্পার সঙ্গে অনিকের। সহ্য করতে না পেরে রিম্পা চারতলার ফ্যাট থেকে নীচে নেমে আসে। প্রতিবেশীদের মারফৎ জানা যায়, সেই সময় উপর থেকে অনিক চিৎকার করে বলতে থাকেন তিনি আত্মহত্যা করবেন। অনিকের এই কথা শুনে রিম্পাও উপরে গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে অনিক। অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না তাঁর।

এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। দেখে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অনিক ঝুলছে। তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা অনিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।