হাঁটুর চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী

হাঁটুর চিকিৎসার পর এসএসকেএম থেকে বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরোনোর এক ঘন্টা আগেই হাসপাতালে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএমে মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটু…

হাঁটুর চিকিৎসার পর এসএসকেএম থেকে বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরোনোর এক ঘন্টা আগেই হাসপাতালে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসএসকেএমে মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটু থেকে বের করা হয় জমা ফ্লুইড। এসএসকেএম-এর চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানান মুখ্যমন্ত্রী স্থিতিশীল রয়েছেন অস্ত্রোপচারের পর। বাড়ি গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

   

সোমবার দুবরাজপুরের সভা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন নিজের অস্ত্রোপচারের কথা। সেই মত আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী দুপুরে এস এস কে এম হাসপাতালে এলেন।

জানা গিয়েছিল সব ঠিক থাকলে আজই তার পায়ে অস্ত্রোপচার হতে পারে বা প্রসিডিওর হতে পারে। আজ দুপুরে এসএসকেএম আসার পর তাঁকে ইউ সি এম ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়িতে চেপে উড বার্ন ব্লকে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে দার্জিলিংয়ের বাগডোগরা বিমান বন্দরে হেলিকপ্টারে আসার সময় দুর্যোগের কবলে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে বহন করা হেলিকপ্টার। সেই কপ্টার অবতরণ করে সেবক সেনা ঘাঁটিতে। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী কপ্টার থেকে সেনা ছাউনিতে নামার সময় চোট পান। পরে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি বাড়িতে আছেন।

কী ঘটেছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আর তিরিশ সেকেন্ড দেরি হলেই মানুষটা মরে যেত।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “আমি এমনি ঠিক আছি। কিন্তু আমার কোমরে এবং পায়ে চোট আছে। আর ৩০ সেকেন্ড হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ করে যেত, নষ্ট হয়ে যেত। আমাদের সরকার মানুষের জন্য যা কাজ করেছে, যারা বড় বড় কথা বলে ভোটের সময়, এমনকী আমার দুর্ঘটনা নিয়েও। যে মানুষটা ৩০ সেকেন্ডে মরে যেতে পারত, তার সম্পর্কেও উল্টোপাল্টা বলে বেড়াচ্ছে, অপপ্রচার করছে। আমি জনগণের কাছে এর বিচার চাইব।”