Kamduni Murder Verdict: বিচার দিতে পারলেন না মমতা ! কটাক্ষ মৌসুমীর

কামদুনি কান্ডে আজ রায়ের পর ভেঙে পড়েন মৌসুমী। তিনি বলেন, এ বিচার তারা আশা করেননি। দীর্ঘ দশ বছরের লড়াই ছিল তাদের। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অপবাদ…

কামদুনি কান্ডে আজ রায়ের পর ভেঙে পড়েন মৌসুমী। তিনি বলেন, এ বিচার তারা আশা করেননি। দীর্ঘ দশ বছরের লড়াই ছিল তাদের। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অপবাদ নিয়েও আজ পর্যন্ত লড়ে এসেছি। একটা মায়ের কোল খালি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এরম আরও মা রয়েছে, তার মেয়েরাও বাইরে বেরোয়। আমরা একটা দৃষ্টান্তমূলক সাজার আশা করেছিলাম। এটা সারা ভারতবাসীর লজ্জা, প্রতিটা মেয়ের লজ্জা। কোর্টের রায়কে আমি অবমাননা করিনা, তবে ডাক্তারের রিপোর্ট, সিআইডির তদন্ত সব পাল্টে দিয়েছে। আগে তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ে আমরা খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এই রায়টা হাইকোর্টেও বহাল থাকবে। সরকারি উকিল, ডাক্তার সবাই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।

কটাক্ষ করতে ছাড়েনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন” রেপ কেসকে দর করেছিলেন আপনি। টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আপনার সরকারি উকিল, সরকারি ডাক্তার কোনো কাজ করল না। বিচার দিতে পারলেন না।”

২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতো তার ঢেউ পৌঁছয় দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এর পরে ঘটনার তদন্তের ভার পায় সিআইডি। চার্জশিটে অভিযোগ আনা হয় নজনের বিরুদ্ধে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কলকাতার নগর দায়রা আদালতের (ব্যাঙ্কশাল কোর্ট) বিচারক সঞ্চিতা সরকার দোষী ছজনের শাস্তি ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি এবং আমিন আলিকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। বাকি তিন অপরাধী শেখ ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করের হয় আমৃত্যু জেলের সাজা। প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয় অন্য দুই অভিযুক্ত রফিক গাজি এবং নুর আলিকে।