কলকাতা মেডিকেলে আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে দমকল

আগুন ধরে কলকাতা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিল্ডিংয়ের ল্যাবরেটরিতে। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আগেও মেডিকেলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্ট অর্থাৎ তিন তলায় ল্যাবে মূলত ওষুধ ডিস্ট্রিবিউশন…

আগুন ধরে কলকাতা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিল্ডিংয়ের ল্যাবরেটরিতে। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আগেও মেডিকেলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্ট অর্থাৎ তিন তলায় ল্যাবে মূলত ওষুধ ডিস্ট্রিবিউশন হয় ঠিক সেই জায়গায় আগুন লাগে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পেশেন্টদের ও তার পরিবারের লোকজনকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। কারণ এই আগুন বিশাল রূপ ধারণ করার একটি আশঙ্কা ছিল। তবে ঠিক সময়মতো দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এরপর পিছনের বিল্ডিং এর আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনে হাসপাতালে ভর্তি থাকা পেশেন্টদের একে একে তাদের ঘরে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়।

তবে এখনো পর্যন্ত আতঙ্কিত বহু মানুষ কারণ কলকাতা মেডিকেল কলেজের মত এমন একটি বড় জায়গা যেখানে বহু মানুষ চিকিৎসা করায়। স্বভাবতই যারা ভর্তি রয়েছেন তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে এই মুহূর্তে পুলিশ ও দমকল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন আতঙ্কের কোনও কারণ নেই আগুন নেভানো হচ্ছে। 

   

এই ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন। এর পাশাপাশি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, হাসপাতালের ল্যাবে আগুন লেগেছে। সেখানে কেউ ছিলেন না। তাই রোগীদের সরাতে হয়নি। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে ঠিক কী ভাবে আগুন লেগেছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দমকল। মনে করা হচ্ছে, সেখানে যেহেতু গবেষণাগারে অনেক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে, তাই সেগুলির কোনও একটি থেকেই আগুন লেগেছে।

তাছাড়া কালীপুজো থাকায় এখন একটু রোগীর চাপ কম। তা না হলে আতঙ্কে আরও কেউ কি কাণ্ড ঘটাত তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে অনেক বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখিত ব্যবধান মাত্র কয়েক মাসের। চলতি বছরের এপ্রিলেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেসময় ভরদুপুরে আগুন লেগে গিয়েছিল হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের ফার্স্ট ফ্লোরে সার্ভার রুমে। ওই ব্লকে অবশ্য কোনও রোগী ছিলেন না। তবে নিচের তলাতেই সিসিইউ। পুরো বিল্ডিংয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল।