CPIM: মমতা সরকারকে ‘চোর’ স্লোগান দিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা বিমান বসুর কথা ধৈর্য ধরে শুনলেন

যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে অবস্থানের ১০০০ দিনে বামফ্রন্টের ডাকে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে গান্ধী মূর্তি মিছিল হল। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও CPIM নেতা…

Left leader Biman Bose

যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে অবস্থানের ১০০০ দিনে বামফ্রন্টের ডাকে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে গান্ধী মূর্তি মিছিল হল। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও CPIM নেতা বিমান বসু সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তাৎপর্যপূর্ণ, যে চাকরিপ্রার্থীরা ধর্ণা মঞ্চ থেকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে দেখে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথা শুনলেন ধৈর্য্য সহ।

শনিবার SLST চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ১০০০ দিনে পড়েছে। দিনভর চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ ছিল তীব্র। চাকরিপ্রার্থী মহিলারা মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। সেই ছবি দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে ধর্ণা মঞ্চে এলেই তৃ়ণমূল মুখপাত্রকে দেখে চোর চোর স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।

অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে কলকাতার বিরাট মিছিল করে সিপিআইএম অন্যান্য বামফ্রন্ট শরিক দলগুলি। তৃণমূলের শিক্ষা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, “আমরা এসেছি যারা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী অবস্থান করছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে। বিধানসভার অন্দরে বললেন ৭৩১ টি পদ খালি আছে। পরের দিন সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নের উত্তরে যখন চারিদিকে হইচই পড়ে গেছে তখন বলছেন না, আমি ওটা এরকমভাবে বলেছি আসলে, আমাদের প্রায় ৫৫ হাজার চাকরি প্রার্থীর পদ খালি আছে। অর্থাৎ শূন্যস্থান রয়েছে তবে নিয়োগ করা হয়নি”।

বিমান বসু শিক্ষা দফতরকে নিশানা করে বলেন, “আগে একবার বলেছিলেন যে লাখ ২, ৩ হবে। এটা অনেক আগে বলেছিলেন। এবার তার লাখ ২,৩ , ৭৩১, তারপর প্রায় ৫৫ হাজার। তারমানে এই শিক্ষা দফতরের যে নজরদারি করা উচিত তার যে ব্যাপক কাজ। শিক্ষা দফতর শুধু আমাদের রাজ্যের নয়, প্রত্যেকটি রাজ্য একটি বড় দফতর”।

বিমান বসু বামফ্রন্ট আমলের শিক্ষা ব্যবস্থা টেনে এনে বলেন, “অতীতে বামফ্রন্ট আমলে শিক্ষা দফতরে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী , সেখানে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী তার মধ্যে আবার মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী, এর সঙ্গেই মিনিস্টার অফ স্টেট এইভাবে বিন্যস্ত ছিল শিক্ষার বিস্তৃত ক্ষেত্র। আর এখন একজন শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা থেকে শুরু করে একদম নিচে পর্যন্ত। এ তো ব্যাপক ভয়ানক ব্যাপার”।

CPIM rally

শিক্ষার সর্বনাশ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “আর যারা আজকে গত প্রায় হাজার দিন ধরে এখানে বসে বিক্ষোভ করছেন। তারাই যখন অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিক্ষোভ করেছেন তাদের উপর হামলা হয়েছে। তাদের উপর পুলিশি নির্যাতন হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ এরা যোগ্যপ্রার্থী। আর অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি করছে শিক্ষার সর্বনাশ করার জন্য”।