CBI Report: চাকরি বাতিলের প্রথম দশ ফাঁকা ওএমআর শিটেই মেধাতালিকায়

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)।

OMR sheets CBI report

গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, মেধাতালিকার প্রথম ১০ জন ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছিল। কিন্তু সার্ভারে তাঁদের নম্বর বেড়ে গেছে।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে থাকা TMC বিধায়ক লন্ডন ঘুরেছিলেন জোড়া পাসপোর্টে

সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে গ্রুপ ডি মামলার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেই রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে উঠেছে। আদালতের৷ দেখা গিয়েছে, মেধাতালিকার প্রথম দশজনেরই প্রাপ্ত নম্বর রয়েছে শূন্য। অর্থাৎ, যাদের নাম মেধাতালিকার বাইরে থাকার কথা৷ তাঁরাই ঘুষ দিয়ে মেধাতালিকার শীর্ষস্থানে জায়গা পেয়েছে৷

আরও পড়ুন: Recruitment Corruption: সারদা-রোজভ্যালির মতো আলোচনায় বিলীন হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা?

এর আগে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজিয়াবাদে ওএমআর শিট মূল্যাইয়নকারী সংস্থার অফিস থেকে হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকেই যা তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মেধা তালিকায় প্রথম দশে থাকা প্রার্থীরা রোল নম্বর, ভেন্যু কোড এবং বুকলেট সিরিয়াল ছাড়া ওএমআর শিটের আর কোথাও কালির আঁচড়টুকুও পড়েনি! উত্তর দেওয়ার অংশ পুরোটাই ফাঁকা!

আরও পড়ুন: ED: গোরু পাচারের সাথে নিয়োগ দুর্নীতিতেও যুক্ত মমতার প্রিয় কেষ্ট, দক্ষিণবঙ্গে বিরাট নেটওয়ার্ক

সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আসলে এই সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা শূন্য পেয়েছেন। যা পরে এসএসসির সার্ভারে বেড়ে হয়েছে ৪৩। শুধুমাত্র তাই-ই নয়, ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি পদে মোট ৪৪৮৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৮২৩ জনের নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্যানেলে নাম ছিল ১৬৯৮ জনের।

আরও পড়ুন: Tet Scam: চার্জশিটে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পুরো পরিবার ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত’

শুক্রবার আদালতের পক্ষ থেকে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের এবং প্রয়োজনের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরি বাতিল হওয়া ১৯১১ জনের মধ্যে এই দশজনের প্রথমেই নাম রয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই।