Bengal recruitment scam: বাংলার শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে ‘সোনার খনি’

শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় (Bengal recruitment scam ) তৃণমূলের গ্রেপ্তার নেতা শান্তনু ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলের জামিনের আবেদনের শুনানির সময়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে দাবি করেছে

shantanu-close-aide-ayan-sheel-arrested-

শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় (Bengal recruitment scam ) তৃণমূলের গ্রেপ্তার নেতা শান্তনু ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলের জামিনের আবেদনের শুনানির সময়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে দাবি করেছে,তাদের হাতে একটি সোনার খনি রয়েছে। এ পর্যন্ত অভিযুক্তের কাছ থেকে আমরা যা পেয়েছি। অর্থাৎ এই ব্যক্তির হাত রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে আছে। বেআইনিভাবে ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছিল এবং ৫০ কোটি টাকারও বেশি বেআইনিভাবে আদায় করেছিল। আদালত অয়ন শীলকে ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানায়।

ইডি আধিকারিকরা সল্টলেকে ৩৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে অয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তার কাছ থেকে প্রায় ৩৫০টি ওএমআর শিট ও গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। ইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিএমসি নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইফোনের মেল থেকে ডেটা বের করা হয়েছে। শান্তনু ব্যানার্জী-অয়ন শীল একটানা কথা বলতেন। সেই থেকে তদন্তে উঠে এসেছে নতুন মোড়। এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শীট প্রিন্ট করার জন্য দায়ী ছিল। তিনি ওএমআর শিটে দাগ দিয়েছেন।

   

তিনি বলেন, প্রভাবশালীদের প্রভাবে পুরসভার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এমনকি শ্রমিক ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে। সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সর্বত্রই দুর্নীতির দাপট। দুর্নীতির জাল রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির যে তথ্য আমরা পেয়েছি।,য তাই বলা হচ্ছে সোনার খনি আমরা পেয়েছি। শুধুমাত্র প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, কোন গ্রুপ D নয়। দুর্নীতির জাল সারা রাজ্যে ছড়িয়ে আছে।

অয়ন শীলের আইনজীবী জানান, অয়ন শীল বিএস ইনফোজোন কোম্পানির পরিচালক। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন না। তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগগুলো মিথ্যা। অনুগ্রহ করে জানান যে, 37 ঘন্টা তল্লাশির পর রবিবার অয়ন শীলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে বেশ কিছু উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট এবং চাকরি পরীক্ষার কপি উদ্ধার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ডও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কামারহাট্টি পৌরসভায় নিয়োগের দায়িত্বও ছিল অয়ন শীলের। তাতেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।