CPIM: আপাতত বুদ্ধবাবুর ঠিকানা ৫১৬ নম্বর কেবিন, সেলিম লিখলেন ‘Not to be worried’

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Buddhadeb Bhattacharya) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাঁর শরীরে অক্সিজেন সঞ্চালন বেড়েছে। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা এখন নেই। সেই মেডিকেল বুলেটিন সহ সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Salim) লিখলেন চিন্তার কারণ নেই

উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জারি করা মেডিকেল বুলেটিনে বলা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Buddhadeb Bhattacharya) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাঁর শরীরে অক্সিজেন সঞ্চালন বেড়েছে। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা এখন নেই। সেই মেডিকেল বুলেটিন সহ সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Salim) লিখলেন চিন্তার কারণ নেই।

ফেসবুকে মহম্মদ সেলিম লিখেছেন, “Not to be worried. For all those who are enquiring and expressing their concern over the health conditions of Com. Buddhadeb Bhattacharya.” তাঁর এই পোস্টের পর রাজ্য ও দেশের বাম রাজনীতি মহলে খানিকটা স্বস্তি ছডিয়েছে।

   

শনিবার দুপুরের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হয়। দ্রুত তাঁকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সময় বুদ্ধবাবুর পরিস্থিতি ছিল সংকটজনক। তাঁর শরীরে অক্সিজেন মাত্রা নামতে শুরু করেছিল। হাসপাতালে আনার পর সেই পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আপাতত তাঁকে উডল্যান্ডসেই থাকতে হবে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, উনি দীর্ঘ সময় ধরেই অসুস্থ। চিকিৎসকরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। তাঁর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন প্রকাশ করছি না যেমন আবার তেমন কোনও রিস্কও নিতে চাইনি।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্বাসকষ্টের সমস্যা গত প্রায় ১৫ বছরের বেশি। একসমের চেইন স্মোকার নাট্যমোদী-সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতার কারণ সিওপিডি। তাঁর শ্বাসকষ্টের জন্য অক্সিজেন লাগে বেশিরভাগ সময়। বাড়িতেই চলে চিকিৎসা। সর্বক্ষণ অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে থাকতে হয় বাড়িতে। পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এ রাজ্যে দায়িত্ব নিয়ে এসেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাথে দেখা করেছিলেন। তখনই তাঁর সাদামাটা ঘরের ছবি দেখেছিলেন রাজ্যবাসী

ব্রিগেডে সর্বশেষ দলীয় সমাবেশে গিয়েও মঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি। এর পর থেকে আর রাজনৈতিক কোনও বিষয়েই তিনি ছিলেন না। দলের কাছে বার্তা পাঠিয়ে সবকিছু থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সাথে দেখা করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।