Bratya Basu: ওয়েটিং লিস্টে অনেকের ওএমআর শিটে গণ্ডগোল রয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

শুক্রবার ওঠা এই প্রশ্নের মধ্যেই নিজের মতামত জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। এদিন সাংবাদিকদে এক প্রশ্নের উত্তর শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, ‘ওয়েটিং লিস্টে থাকা অনেকের ওএমআর শিটে গণ্ডগোল রয়েছে।

Education Minister Bratya Basu

কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করেছে। আগামী ২১ দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পক্ষে এই আদেশ দেওয়া হলেও নিয়োগ নিয়ে কি নতুন করে জটিলতা শুরু হবে? শুক্রবার ওঠা এই প্রশ্নের মধ্যেই নিজের মতামত জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। এদিন সাংবাদিকদে এক প্রশ্নের উত্তর শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, ‘ওয়েটিং লিস্টে থাকা অনেকের ওএমআর শিটে গণ্ডগোল রয়েছে।

আরও পড়ুন: Batya Bose: টিএমসি যুবনেতা কুন্তলের বাড়িতে ওএমআর শিট মিলতেই দায় ঝাড়লেন মন্ত্রী

গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা বিষয়টি হাইকোর্টের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। প্রশ্ন করা হয়েছিল, ওয়েটিং প্যানেল থেকে কি ওই শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে? কিন্তু কোর্ট বলেছে, সেখানেও গন্ডগোল আছে। অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেরই ওএমআর শিটে সমস্যা রয়েছে। ফলে সেখান থেকেও নিয়োগ আপাতত হবে না।

আরও পড়ুন: SSC scam: সুবীরেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের একগুচ্ছ নির্দেশে মাথায় হাত ‘বড়মাথা’দের

এই প্রসঙ্গের পাশাপাশি ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শিক্ষামন্ত্রীকে৷ পকেট থেকে চিরকুট বের করে ব্রাত্য বলেন, দুর্নীতি হয়েছে কি না, এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিচারাধীন বিষয়। এনিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না। আদালত যা নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এসএসসিকে সতর্ক হতে হবে। ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: Abhijit Gangopadhyay: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বইতে লেখা থাকবে ‍‘অপা’র দুর্নীতির কথা

অন্যদিকে কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ওএমআর শিট উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে। আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন। পর্ষদের কাছে একটি কপি রয়েছে। আপনি পরীক্ষার্থী, আপনার কাছে একটি কপি রয়েছে। আপনি যদি সেই কপি কোনও দালালকে দেন তাহলে তার দায় পর্ষদের নয়, সরকারের নয়। পর্ষদ তো বটেই, আমিও বলছি, কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রের ফাঁদে যদি পা দেন, সেটা দালাল বা দুষ্ট চক্রের মতো আপনারও সম অপরাধ। এধরনের কোনরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। আপনি কেবলমাত্র নিজের মেধা, নিজের যোগ্যতা এবং নিজের শ্রমের ওপর আস্থা রাখুন। আর আস্থা রাখুন পর্ষদের নিরপেক্ষতার ওপর।