TMC: মমতাকে হেনস্থা করতেই ধনকরকে নিযুক্ত করেছিল বিজেপি, অভিযোগ

মমতা-রাজ্যপালের মধ্যে টুইট যুদ্ধ জারি। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন যে, রাজ্যপাল তাঁকে খুব বিরক্ত করতেন সেজন্য তাঁকে ব্লক…

মমতা-রাজ্যপালের মধ্যে টুইট যুদ্ধ জারি। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন যে, রাজ্যপাল তাঁকে খুব বিরক্ত করতেন সেজন্য তাঁকে ব্লক করতে বাধ্য হয়েছেন। আর এহেন ঘটনাকে ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।

এদিকে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হল তৃণমূল (TMC) শিবিরের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করতেই বিজেপি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে নিয়োগ করেছে। রাজ্যপালকে নিয়োগ করার সময় বিজেপির একটাই লক্ষ্য ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবেই হোক হেনস্থা করা। তবে বিজেপি ও কেন্দ্রের এত হেনস্থার পরেও তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এসেছেন।

এদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা টুইটারে জগদীপ ধনকরকে ব্লক করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “উনি রাজ্যপালকে ব্লক করলে কী হবে? সে কি চলে যাবে? তিনি তার কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে”।

উল্লেখ্য, গতকাল মমতা বলেন, ‘বারবার বিরক্ত করছেন, তাই বাধ্য হয়েছি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যপালকে ব্লক করতে। এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি, কিন্তু বারবার প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। নিজেকে সুপার পাহারাদারি ভাবেন রাজ্যপাল। প্রতিদিন বিল আটকেছেন রাজ্যপাল। উস্কানি দেন উনি। সবাইকে ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল, প্রত্যেকটা বিল আটকে দিয়েছেন। রাজ্যপালের প্রশ্রয়ে বিজেপির গুণ্ডারা লোক মারছে। প্রধানমন্ত্রীকে চারটি চিঠি দিয়েছি। তারপরেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সব ষড়যন্ত্র। কেন্দ্র হচ্ছে পেগাসাস আর রাজ্যপাল হচ্ছে নাভিশ্বাস।’