মমতার আমলে শিক্ষকতার চাকরি পেতে বৃহত্তর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত

২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে সমস্ত উত্তীর্ণ চাকরী প্রার্থীদের নিয়োগের কথা ছিল, একাধিক মামলা ও শুনানি পর্বের জেরে তা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে। তার ৭ বছর…

mamata phone

২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে সমস্ত উত্তীর্ণ চাকরী প্রার্থীদের নিয়োগের কথা ছিল, একাধিক মামলা ও শুনানি পর্বের জেরে তা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে। তার ৭ বছর পর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা হয়েছিল। ফলপ্রকাশ হয় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। অথচ যারা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে তাঁদের এখনও কেন নিয়োগ হল না? এই প্রশ্নে ক্ষোভ বাড়ছে চাকরী প্রার্থীদের মধ্যেই।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এর আগে ২৬৯ জন চাকরি হারিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে৷ অন্যদিকে, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ৪৩ হাজার জন কর্মরত শিক্ষকের নিয়োগের নথি৷ আগামী মঙ্গলবার একটি মামলার শেষ শুনানি রয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পদ থেকে সরানো হয়েছে মাণিক ভট্টাচার্যকেও৷

   

এরই মধ্যে ২০২১ সালের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন ১০ হাজারের কাছাকাছি চাকরী প্রার্থী৷ ৬ মাস কেটে গেলেও তাঁদের নিয়োগ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি পর্ষদ থেকে শিক্ষা দফতর৷ তাই অবিলম্বে সমস্ত প্রক্রিয়া মেনেই নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছেন চাকরী প্রার্থীরা৷ তা না হলে আগামী দিনে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা৷

নিয়োগ নিয়ে এর আগে বিধানসভাতেও চর্চা হয়। গত ২২ মার্চ বিধানসভার প্রশ্নোত্তরপর্বে ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী একটি তথ্য পেশ করেন। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে ৩,৮৮,১২০ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর পদ শূন্য রয়েছে। দ্রুত সেই পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু এখনও অবধি তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এবিষয়ে চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেছে, আমি নয়, আদালতে আপনারা গেছেন। আমাদের না বলে, যাঁরা কোর্টে কেস করিয়েছেন, আপনাদের হয়ে যাঁরা সিপিএমের আইনজীবী দাঁড়িয়েছেন, বিকাশবাবুদের বলুন। বিকাশবাবু আপনার তো পয়সার অভাব নেই, আপনি কেস করে আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি বন্ধ করে দিলেন আপনার তো টাকার অভাব নেই। আপনি যেমন আমাদের চাকরি বন্ধ করেছেন, আপনি আবার আমাদের চাকরি চালু করুন।

পাল্টা বিকাশ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, আমরা প্রথম থেকেই বলছি গোটা নিয়োগ প্রথাটাই দুর্নীতির পক্ষে৷ লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে৷ সেজন্যই তো ওরা এত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর আতঙ্কের কথা শুনছেন কেন? চুরিটা এত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে যাবে সেটা উনি বুঝতে পারেননি৷ যত তদন্তের গতিপ্রকৃতি এগোবে, তত আরও ঘটনা বের হবে৷ গোটা প্রক্রিয়াটা দুর্নীতিগ্রস্ত৷ দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত৷