পিনকন ও টাওয়ার গ্রুপ নামের চিটফান্ড মামলায় শহরজুড়ে দশটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান ইডির। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন ইডির আধিকারিক বুধবার সকাল থেকে বিরাট অভিযানে নেমেছে বলে জানতে পারা গেছে। কলকাতার কেয়াতলা রোডে এক ব্যবসায়ী এবং আলিপুরের এক আইনজীবীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আইনজীবী সঞ্জয় বসুর (Sanjay Bose) ফ্ল্যাটে ইডি হানা দিতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Leader of Opposition Suvendu Adhikari)।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, সঞ্জয় বসু শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী নন, সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্থায়ী আইনজীবীও তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যত অপকর্ম করেছেন তার মূল সাগরেদ হচ্ছে সঞ্জয় বসু।
এরপরেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য, বিনয় মিশ্রর পর টাকা তুলেছে এই সঞ্জয়৷ রাজ্যের একাধিক জায়িগায় পুলিশকে সংগঠিত করে টাকা তুলছে এই ব্যক্তি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় টাকা তোলার দায়িত্বে ছিল এই ব্যক্তি৷ এরপরেই তিনি বলেন, বুধবার ইডির অভিযান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিচলিত। ডিজিপির সংবাদমাধ্যমকে নির্দেশ দিয়েছে এবিষয়ে খবর না করার জন্য।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল ৮টা ৪০মিনিট নাগাদ ইডির কর্তারা হানা দেন হাওড়া জগাছায় ব্যবসায়ী রামেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এছাড়াও আলিপুরের বর্ধমান রোডের এক আইনজীবী ও গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডের এক বাসিন্দার বাড়িতেও চলে তল্লাশি৷ রাজ্যজুড়ে এই অভিযানে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।