চিরকুটের তদন্ত করতে করতে মুখ্যমন্ত্রীকে না হেফাজতে যেতে হয়: বিকাশ ভট্টাচার্য

মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) থেকে তৃণমূলের মুখপাত্ররা বারবার এবিষয়ে কড়া সমালোচনা করছে আগের সরকারের। এবার তা নিয়ে গর্জে উঠলেন সিপি(আই)এমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (CPIM MP Bikash Ranjan Bhattacharya)।

Bikash Ranjan Bhattacharya, CPIM MP

বারবার চিরকুটে চাকরির কথা বলে বাম শাসনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে পাল্টা তোপ দাগার চেষ্টা করছে শাসক দল৷ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) থেকে তৃণমূলের মুখপাত্ররা বারবার এবিষয়ে কড়া সমালোচনা করছে আগের সরকারের। এবার তা নিয়ে গর্জে উঠলেন সিপি(আই)এমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (CPIM MP Bikash Ranjan Bhattacharya)।

তিনি বলেন, গোটা মন্ত্রীসভার সঙ্গে এই দুর্নীতি যুক্ত সেটা মানুষের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে৷ এখানে কোনও উদাহরণের প্রয়োজন নেই৷ তখন লোকের একটা দায় পড়ে কি করে দৃষ্টিটা ঘোরানো যায়। সেটা করতে গিয়ে আর একদল বলছে বিপদ হয়ে যাচ্ছে। তখন বলছে তৃণমূলকেই চাকরি দেবো। আসলে চোরাবালিতে পড়ে বালি ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে৷

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

বর্ষীয়ান আইনজীবীর কথায়, যেখানে যেখানে দুর্নীতি হয়েছে আমরা চাই প্রকাশ করুক না৷ আমরা দেখতে চাই বামপন্থীদের মধ্যেও কারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত? আমাদের এবিষয়ে আশঙ্কা করার কিছু নেই৷ কিন্তু ওনারা সেটা না পেরে এই ধরনের কথা বলে যাচ্ছেন। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এই তদন্ত করছি চিরকুট বের করছি এটা বলতে বলতে ওদেরই না আবার জেলে যেতে হয়৷ বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই এই ব্রাত্য বাবু বা মমতারা যদি আগামী দিনে হেফাজতে চলে যান৷

ইতিমধ্যেই বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটার নিয়েও তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সুর চড়িয়ে সরকারের পক্ষেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সুজন জায়া৷ এবার তা নিয়েও মুখ খুললেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মিলি বাংলায় চিঠি লিখতে পারত৷ তাহলে তৃণমূলের লোকেরা বুঝতে পারত। আমার সন্দেহ এধরনের চিঠি ক’জন তৃণমূলের নেতারা লিখতে পারবেন!